ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের আঘাতে নিহত ৪, এখনো নিখোঁজ ৫ – উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের উত্তরাখণ্ডের তিব্বত সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত মানা গ্রামে তুষারধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার একটি নির্মাণ শিবিরে ভয়াবহ এ ধসের ফলে ৫৫ জন শ্রমিক বরফ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। শনিবার সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথমে ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও গুরুতর আহত চারজন মারা গেছেন। এখনো পাঁচজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের উদ্ধারে ছয়টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সরকার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মানা গ্রামটি ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি দুর্গম এলাকা, যেখানে শীতকালে তুষারধস ও ভূমিধস প্রায়ই ঘটে। এ কারণে শীতপ্রবাহ শুরু হলে সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দারা নিচু এলাকায় চলে যান। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্গমতা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমালয়ের আবহাওয়া ক্রমেই কঠোর হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, সংবেদনশীল এই অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বন উজাড়ের কারণে বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে। ২০২১ সালে বিশাল এক হিমবাহ ভেঙে নদীতে পড়ার ফলে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়, যাতে প্রায় ১০০ জন প্রাণ হারান। এছাড়া, ২০১৩ সালের বিধ্বংসী বর্ষার পর ভূমিধস ও বন্যায় ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যা উত্তরাখণ্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলে।

বর্তমানে নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে দুর্গম পথ ও প্রতিকূল আবহাওয়া উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত করছে। সরকারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের আঘাতে নিহত ৪, এখনো নিখোঁজ ৫ – উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার

আপডেট সময় ০৬:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

ভারতের উত্তরাখণ্ডের তিব্বত সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত মানা গ্রামে তুষারধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার একটি নির্মাণ শিবিরে ভয়াবহ এ ধসের ফলে ৫৫ জন শ্রমিক বরফ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। শনিবার সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথমে ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও গুরুতর আহত চারজন মারা গেছেন। এখনো পাঁচজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের উদ্ধারে ছয়টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সরকার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মানা গ্রামটি ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি দুর্গম এলাকা, যেখানে শীতকালে তুষারধস ও ভূমিধস প্রায়ই ঘটে। এ কারণে শীতপ্রবাহ শুরু হলে সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দারা নিচু এলাকায় চলে যান। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্গমতা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমালয়ের আবহাওয়া ক্রমেই কঠোর হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, সংবেদনশীল এই অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বন উজাড়ের কারণে বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে। ২০২১ সালে বিশাল এক হিমবাহ ভেঙে নদীতে পড়ার ফলে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়, যাতে প্রায় ১০০ জন প্রাণ হারান। এছাড়া, ২০১৩ সালের বিধ্বংসী বর্ষার পর ভূমিধস ও বন্যায় ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যা উত্তরাখণ্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলে।

বর্তমানে নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে দুর্গম পথ ও প্রতিকূল আবহাওয়া উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত করছে। সরকারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।