০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অন্যান্য ৮ আসামির খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 110

ছবি সংগৃহীত

 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দলের আরও সাত নেতাকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় দেন। আদালত জানিয়েছে, মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে দায়ের করা হয়েছিল।

মামলার শুনানি শেষে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামি পক্ষ নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। খালেদা জিয়া, যিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন, আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি, তবে তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম হাজির ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার প্রসঙ্গে দুদকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হলেও, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের আবেদন করেন। আদালত মামলার প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের খালাসের রায় প্রদান করেন।

মামলাটি ২০০৭ সালে দায়ের করা হয়, যখন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম খালেদা জিয়া এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। ২০০৮ সালে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এই মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সি এম ইউছুফ হোসাইন, মীর ময়নুল হক, মো. শফিউর রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া, ও কাশেম শরীফ।

এদিকে, দুই আসামি এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং মওদুদ আহমদ মৃত হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগ ছিল যে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে খালেদা জিয়া ও তার সহকর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার একটি কোম্পানিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করেন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অন্যান্য ৮ আসামির খালাস

আপডেট সময় ০১:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দলের আরও সাত নেতাকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় দেন। আদালত জানিয়েছে, মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে দায়ের করা হয়েছিল।

মামলার শুনানি শেষে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামি পক্ষ নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। খালেদা জিয়া, যিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন, আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি, তবে তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম হাজির ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার প্রসঙ্গে দুদকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হলেও, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের আবেদন করেন। আদালত মামলার প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের খালাসের রায় প্রদান করেন।

মামলাটি ২০০৭ সালে দায়ের করা হয়, যখন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম খালেদা জিয়া এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। ২০০৮ সালে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এই মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সি এম ইউছুফ হোসাইন, মীর ময়নুল হক, মো. শফিউর রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া, ও কাশেম শরীফ।

এদিকে, দুই আসামি এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং মওদুদ আহমদ মৃত হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগ ছিল যে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে খালেদা জিয়া ও তার সহকর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার একটি কোম্পানিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করেন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।