ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার: ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 159

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তবে যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। স্টারমার এই মন্তব্যটি করেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর বৃহত্তর ভূমিকা দাবির প্রেক্ষিতে।

স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাতে চাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে ইউরোপের দেশগুলোর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপকে এই আলোচনায় বাইরে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
যুক্তরাজ্য সেনা পাঠানোর প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্টারমার বলেন, তিনি এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন এবং এটি সহজভাবে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

এছাড়া, তিনি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ যদি শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়, তবে এটি অবশ্যই এক অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে পুনরায় আগ্রাসনের পথ উন্মুক্ত করবে। তাই, ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।

প্রথমবারের মতো কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এর আগে, তিনি বলেছিলেন যে, শান্তিচুক্তি হলে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে, তবে এখন তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতারা প্যারিসে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। এতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার: ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

আপডেট সময় ০৩:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তবে যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। স্টারমার এই মন্তব্যটি করেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর বৃহত্তর ভূমিকা দাবির প্রেক্ষিতে।

স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাতে চাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে ইউরোপের দেশগুলোর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপকে এই আলোচনায় বাইরে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
যুক্তরাজ্য সেনা পাঠানোর প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্টারমার বলেন, তিনি এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন এবং এটি সহজভাবে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

এছাড়া, তিনি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ যদি শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়, তবে এটি অবশ্যই এক অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে পুনরায় আগ্রাসনের পথ উন্মুক্ত করবে। তাই, ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।

প্রথমবারের মতো কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এর আগে, তিনি বলেছিলেন যে, শান্তিচুক্তি হলে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে, তবে এখন তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতারা প্যারিসে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। এতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।