ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া: ইতিহাস গড়বে কে? ট্রাম্পের পরিকল্পনা রুখতে ও গাজা পুনর্গঠনের জন্য আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মিলিত পদক্ষেপ চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় এবছর ইইউ’র ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঢাকার সাত কলেজের নতুন ব্যবস্থা, চলবে ইউজিসির অধীন সমন্বিত কাঠামোর আওতায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ: কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে জাতিসংঘের প্রতিবেদন কীভাবে সহায়ক হবে? বললেন ফলকার টুর্ক বাংলাদেশ পুলিশের ১২৪ কর্মকর্তার একযোগে বদলি: পদোন্নতির পর নতুন দায়িত্বে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ: ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে ১৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার শয়ন গ্রেপ্তার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার: ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তবে যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। স্টারমার এই মন্তব্যটি করেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর বৃহত্তর ভূমিকা দাবির প্রেক্ষিতে।

স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাতে চাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে ইউরোপের দেশগুলোর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপকে এই আলোচনায় বাইরে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
যুক্তরাজ্য সেনা পাঠানোর প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্টারমার বলেন, তিনি এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন এবং এটি সহজভাবে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

এছাড়া, তিনি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ যদি শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়, তবে এটি অবশ্যই এক অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে পুনরায় আগ্রাসনের পথ উন্মুক্ত করবে। তাই, ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।

প্রথমবারের মতো কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এর আগে, তিনি বলেছিলেন যে, শান্তিচুক্তি হলে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে, তবে এখন তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতারা প্যারিসে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। এতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫২০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার: ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

আপডেট সময় ০৩:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তবে যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। স্টারমার এই মন্তব্যটি করেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর বৃহত্তর ভূমিকা দাবির প্রেক্ষিতে।

স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাতে চাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে ইউরোপের দেশগুলোর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপকে এই আলোচনায় বাইরে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
যুক্তরাজ্য সেনা পাঠানোর প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্টারমার বলেন, তিনি এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন এবং এটি সহজভাবে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

এছাড়া, তিনি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ যদি শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়, তবে এটি অবশ্যই এক অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে পুনরায় আগ্রাসনের পথ উন্মুক্ত করবে। তাই, ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।

প্রথমবারের মতো কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এর আগে, তিনি বলেছিলেন যে, শান্তিচুক্তি হলে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে, তবে এখন তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতারা প্যারিসে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। এতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।