ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

কফিন মিছিলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ: স্থানীয় জনগণের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

রংপুরে সম্প্রতি একটি কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এই মিছিলটি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিলে অংশ নেন এবং সরকারের ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

রংপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়। সেখানে বক্তারা সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন এবং বলেন যে, আওয়ামী লীগ জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তারা আরও বলেন যে, আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড দেশের জন্য ক্ষতিকর।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কফিন বহন করেন, যা তাদের ক্ষোভ ও হতাশার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নিপীড়ন, দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব। তারা দাবি করেন যে, বর্তমান সরকারের নীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

বক্তারা সরকারের কাছে তাদের দাবি পেশ করেন এবং আওয়ামী লীগকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং বলেন যে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এই মিছিল স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে, এই ধরনের দাবি রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে, জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ করা জরুরি।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

সব মিলিয়ে, রংপুরের কফিন মিছিলটি রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি উদাহরণ, যেখানে জনগণ তাদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে চায়। তারা মনে করেন যে, তাদের দাবির মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কফিন মিছিলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ: স্থানীয় জনগণের দাবি

আপডেট সময় ১২:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রংপুরে সম্প্রতি একটি কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এই মিছিলটি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিলে অংশ নেন এবং সরকারের ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

রংপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়। সেখানে বক্তারা সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন এবং বলেন যে, আওয়ামী লীগ জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তারা আরও বলেন যে, আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড দেশের জন্য ক্ষতিকর।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কফিন বহন করেন, যা তাদের ক্ষোভ ও হতাশার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নিপীড়ন, দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব। তারা দাবি করেন যে, বর্তমান সরকারের নীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

বক্তারা সরকারের কাছে তাদের দাবি পেশ করেন এবং আওয়ামী লীগকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং বলেন যে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এই মিছিল স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে, এই ধরনের দাবি রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে, জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ করা জরুরি।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

সব মিলিয়ে, রংপুরের কফিন মিছিলটি রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি উদাহরণ, যেখানে জনগণ তাদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে চায়। তারা মনে করেন যে, তাদের দাবির মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন আনা সম্ভব।