তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি: আমরণ অনশন ও বিক্ষোভ
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই’ ব্যানারে তাদের অনশন শুরু হয়। পরবর্তীতে, রাতভর কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে জমা হতে থাকেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে, আন্দোলনকারীরা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন, যার ফলে ওই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে একযোগে আন্দোলন করছেন, তাদের মূল দাবি হচ্ছে, তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হলো—
১. তিতুমীর কলেজকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা।
৩. শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অথবা আবাসন খরচ বহন করা।
৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আইন এবং সাংবাদিকতা বিষয় যুক্ত করা।
৫. যোগ্য পিএইচডি ধারী শিক্ষক নিয়োগ।
৬. আসন সংখ্যা সীমিত করা এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে গবেষণাগার নির্মাণ।
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে, কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ ইসলাম অনিক বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দাবির প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সরকার যদি এগুলো মেনে না নেয়, তবে আন্দোলন চলবে।’’
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া অর্নি বলেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নেই, তাদের খরচ বহন করা হয়, অথচ আমাদের কেন তা দেওয়া হবে না? এ বৈষম্যের অবসান চাই।’’