ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এর সংশোধনী আনা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিম্ন অবস্থানে রাখা হয়েছে দাবি করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সংগঠন।

২০১০ সালে হাইকোর্ট রায়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ঘোষণা করে আটটি নির্দেশনা দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। শুনানি শেষে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো কিছুটা সংশোধন করে তিনটি নির্দেশনা প্রদান করে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়—

১) সাংবিধানিক পদধারীরা প্রিসিডেন্সে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন।

২) জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সচিবদের সাথে ১৬ নম্বরে থাকবেন।

৩) অতিরিক্ত সচিবরা থাকবেন ১৭ নম্বরে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে। পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও রিভিউ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এর সংশোধনী আনা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিম্ন অবস্থানে রাখা হয়েছে দাবি করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সংগঠন।

২০১০ সালে হাইকোর্ট রায়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ঘোষণা করে আটটি নির্দেশনা দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। শুনানি শেষে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো কিছুটা সংশোধন করে তিনটি নির্দেশনা প্রদান করে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়—

১) সাংবিধানিক পদধারীরা প্রিসিডেন্সে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন।

২) জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সচিবদের সাথে ১৬ নম্বরে থাকবেন।

৩) অতিরিক্ত সচিবরা থাকবেন ১৭ নম্বরে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে। পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও রিভিউ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন।