এইডস ঝুঁকিতে দেশ: চট্টগ্রামে নতুন রোগী ৭৫
- আপডেট সময় ১২:২৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 40
চট্টগ্রামে এইচআইভি সংক্রমণের হার সামগ্রিকভাবে কমলেও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর তুলনায় স্থানীয় জনগণ ও প্রবাসীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর পর্যন্ত এক বছরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭৫ জন রোগী—যাদের মধ্যে স্থানীয় ২৬ জন এবং প্রবাসফেরত ২০ জন।
বিশ্ব এইডস দিবস (১ ডিসেম্বর) উপলক্ষে চমেকের এআরটি সেন্টারের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে আরও জানা যায়, ২০২৩ নভেম্বর থেকে ২০২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১১ জন। অন্যদিকে, গত এক বছরে শনাক্ত ৭৫ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের, যাদের বেশিরভাগই চিকিৎসা শুরুর আগেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আসেন।
গত এক বছরে মোট ৩ হাজার ৭৬৬ জন সন্দেহভাজনকে পরীক্ষা করে ৭৫ জনের মধ্যে এইচআইভি শনাক্ত হয়। সংক্রমণের উৎস বিশ্লেষণে দেখা যায়—
সাধারণ জনগণ: ২৬ জন, প্রবাসফেরত ব্যক্তি: ২০ জন, পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক: ১৫ জন, স্বামী থেকে স্ত্রী সংক্রমণ: ১২ জন, যৌনকর্মী: ১ জন, শিশু: ১ জন।
জেলা অনুযায়ী রোগীদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা ৫৩ জন, ফেনীর ৭ জন, কক্সবাজারের ৪ জন, রাঙামাটির ২ জন এবং অন্যান্য জেলায় ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন। মোট শনাক্তের ৬১ শতাংশের বেশি এসেছে সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের মধ্য থেকে।
চিকিৎসা ও ঝুঁকি
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান বলেন, নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ফলোআপ করলে এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব। সরকার এই রোগের চিকিৎসায় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হাঁচি-কাশি বা একই পাত্রে খাবার খাওয়া থেকে এইচআইভি ছড়ায় না। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ, ব্যবহৃত সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার এবং অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেই এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়।













