১০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যে ২০ বছর পর নতুন অস্ত্র কারখানা নির্মাণ পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর ভারত ম্যাচে ঐতিহাসিক জয়, মোরছালিনের চোখে আলাদা অনুপ্রেরণা কর্পোরেট চাকরি: স্মার্ট ক্যারিয়ারের চাবিকাঠি, নিয়ম–শৃঙ্খলা ও শেখার ধারাবাহিকতা ট্রাম্প: সৌদি আরবের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় শান্তি–স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন প্রস্তাব পাশ F-22 পাইলট প্রথমবারের মতো সরাসরি MQ-20 ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করলেন Trump Organization ও সৌদি কোম্পানি মালদ্বীপে বিলাসবহুল রিসোর্ট বানাচ্ছে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড জুলাই হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / 33

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি বৃহৎ ও কৌশলগত চুক্তি-প্যাকেজ চূড়ান্ত করেছেন।

এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, খনিজ সম্পদ ও বিনিয়োগ, পারমাণবিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতিরক্ষা জোট এবং প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি।

বিজ্ঞাপন

চুক্তির বিস্তারিত:

১. সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা

উভয় দেশ একটি যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে সৌদি আরবে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান অংশীদার হিসেবে নির্ধারণ করা হলো।

প্রযুক্তি হস্তান্তরে কঠোর নিরাপত্তা ও অ-প্রসারণ (non-proliferation) মান বজায় রাখা হবে।

এর ফলে সৌদি পারমাণবিক প্রকল্পে মার্কিন কোম্পানিগুলোই নেতৃত্ব পাবে।

২. গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে বড় চুক্তি

দুই দেশ কৌশলগত খনিজ সম্পদ–সংক্রান্ত একটি নতুন ফ্রেমওয়ার্কে স্বাক্ষর করেছে।

সরবরাহ ব্যবস্থা নিরাপদ করতে যৌথ বিনিয়োগ হবে।

মার্কিন ও সৌদি খনিজ কৌশল একত্র করা হবে।

৩. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ক্ষেত্রে বড় সমঝোতা

ইতিহাসে প্রথমবার সৌদি আরবকে আমেরিকান এআই সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এতে মার্কিন এআই প্রযুক্তি নিরাপত্তার আওতায় থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিকে “আমেরিকান এআই আধিপত্য” রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখছে।

৪. কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি (SDA)

এই চুক্তিকে দুই দেশের ৮০ বছরের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সবচেয়ে বড় আপডেট বলা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো সৌদি আরবে সহজে কাজ করতে পারবে।

সৌদি আরব প্রতিরক্ষা ব্যয়ের একটি বড় অংশ বহন করবে, ফলে মার্কিন খরচ কমবে।

সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়—“যুক্তরাষ্ট্রই আমাদের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার।”

৫. প্রধান অস্ত্র বিক্রি

চুক্তির ফলে ভবিষ্যতে সৌদি আরবকে F-35 স্টেলথ ফাইটার সরবরাহ করা হবে।
এছাড়া—

প্রায় ৩০০ মার্কিন ট্যাংক কেনার ব্যাপারেও সম্মতি হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে শত শত চাকরি সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

৬. ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে মোট প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া—

মার্কিন পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা কমানো হবে।

মার্কিন শিল্প, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিশেষ বিনিয়োগ প্রবাহিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত গাড়ির নিরাপত্তা মান (FMVSS) সৌদি আরবেও গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে।

আর্থিক বাজার, মান নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ে দুই দেশের কোষাগার বিভাগের মধ্যে নতুন সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেট সময় ১১:০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি বৃহৎ ও কৌশলগত চুক্তি-প্যাকেজ চূড়ান্ত করেছেন।

এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, খনিজ সম্পদ ও বিনিয়োগ, পারমাণবিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতিরক্ষা জোট এবং প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি।

বিজ্ঞাপন

চুক্তির বিস্তারিত:

১. সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা

উভয় দেশ একটি যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে সৌদি আরবে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান অংশীদার হিসেবে নির্ধারণ করা হলো।

প্রযুক্তি হস্তান্তরে কঠোর নিরাপত্তা ও অ-প্রসারণ (non-proliferation) মান বজায় রাখা হবে।

এর ফলে সৌদি পারমাণবিক প্রকল্পে মার্কিন কোম্পানিগুলোই নেতৃত্ব পাবে।

২. গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে বড় চুক্তি

দুই দেশ কৌশলগত খনিজ সম্পদ–সংক্রান্ত একটি নতুন ফ্রেমওয়ার্কে স্বাক্ষর করেছে।

সরবরাহ ব্যবস্থা নিরাপদ করতে যৌথ বিনিয়োগ হবে।

মার্কিন ও সৌদি খনিজ কৌশল একত্র করা হবে।

৩. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ক্ষেত্রে বড় সমঝোতা

ইতিহাসে প্রথমবার সৌদি আরবকে আমেরিকান এআই সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এতে মার্কিন এআই প্রযুক্তি নিরাপত্তার আওতায় থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিকে “আমেরিকান এআই আধিপত্য” রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখছে।

৪. কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি (SDA)

এই চুক্তিকে দুই দেশের ৮০ বছরের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সবচেয়ে বড় আপডেট বলা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো সৌদি আরবে সহজে কাজ করতে পারবে।

সৌদি আরব প্রতিরক্ষা ব্যয়ের একটি বড় অংশ বহন করবে, ফলে মার্কিন খরচ কমবে।

সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়—“যুক্তরাষ্ট্রই আমাদের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার।”

৫. প্রধান অস্ত্র বিক্রি

চুক্তির ফলে ভবিষ্যতে সৌদি আরবকে F-35 স্টেলথ ফাইটার সরবরাহ করা হবে।
এছাড়া—

প্রায় ৩০০ মার্কিন ট্যাংক কেনার ব্যাপারেও সম্মতি হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে শত শত চাকরি সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

৬. ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে মোট প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া—

মার্কিন পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা কমানো হবে।

মার্কিন শিল্প, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিশেষ বিনিয়োগ প্রবাহিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত গাড়ির নিরাপত্তা মান (FMVSS) সৌদি আরবেও গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে।

আর্থিক বাজার, মান নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ে দুই দেশের কোষাগার বিভাগের মধ্যে নতুন সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে।