১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী কাতারে হামলায় নতুন কূটনৈতিক সংকট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 92

ছবি: সংগৃহীত

 

কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে তীব্র বাক্যবিনিময় হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে খবর দিয়েছে আনাদোলু।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, ফোনালাপে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে নেতানিয়াহুর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করা ছিল “গুরুতর ভুল”। ট্রাম্প ক্ষোভ জানিয়ে উল্লেখ করেন, ইসরায়েল তাকে আগে কিছু না জানিয়ে মিত্র দেশ কাতারের ভেতরে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে— যে দেশ বর্তমানে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প বিস্ময় প্রকাশ করেন যে, হামলার খবর তিনি নিজ দেশের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, ইসরায়েল থেকে নয়।

ফোনালাপে নেতানিয়াহু যুক্তি দেন, হামলার সুযোগ খুব সীমিত ছিল বলে তিনি তা কাজে লাগিয়েছেন। পরে উভয়ের মধ্যে আরেক দফা আলাপ হয়, যা কিছুটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়। সে সময় ট্রাম্প জানতে চান, অভিযান সফল হয়েছে কি না, কিন্তু নেতানিয়াহু নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের শীর্ষ নেতারা অক্ষত আছেন, তবে সংগঠনের পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় কাতার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দোহায় ইসরায়েলি হামলা ছিল “কাপুরুষোচিত” এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল–থানি সিএনএনকে জানান, হামলার জবাবে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইসরায়েলের এমন বেপরোয়া আচরণ আর সহ্য করা হবে না। এ ঘটনায় অবশ্যই আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।”
উল্লেখ্য, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর যৌথভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী কাতারে হামলায় নতুন কূটনৈতিক সংকট

আপডেট সময় ১০:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে তীব্র বাক্যবিনিময় হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে খবর দিয়েছে আনাদোলু।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, ফোনালাপে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে নেতানিয়াহুর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করা ছিল “গুরুতর ভুল”। ট্রাম্প ক্ষোভ জানিয়ে উল্লেখ করেন, ইসরায়েল তাকে আগে কিছু না জানিয়ে মিত্র দেশ কাতারের ভেতরে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে— যে দেশ বর্তমানে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প বিস্ময় প্রকাশ করেন যে, হামলার খবর তিনি নিজ দেশের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, ইসরায়েল থেকে নয়।

ফোনালাপে নেতানিয়াহু যুক্তি দেন, হামলার সুযোগ খুব সীমিত ছিল বলে তিনি তা কাজে লাগিয়েছেন। পরে উভয়ের মধ্যে আরেক দফা আলাপ হয়, যা কিছুটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়। সে সময় ট্রাম্প জানতে চান, অভিযান সফল হয়েছে কি না, কিন্তু নেতানিয়াহু নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের শীর্ষ নেতারা অক্ষত আছেন, তবে সংগঠনের পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় কাতার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দোহায় ইসরায়েলি হামলা ছিল “কাপুরুষোচিত” এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল–থানি সিএনএনকে জানান, হামলার জবাবে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইসরায়েলের এমন বেপরোয়া আচরণ আর সহ্য করা হবে না। এ ঘটনায় অবশ্যই আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।”
উল্লেখ্য, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর যৌথভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।