০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 143

ছবি সংগৃহীত

 

 

মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন ও সংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করে পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়া বদরুদ্দীন উমর ছিলেন মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতীক।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তার অবিচল নিষ্ঠা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তনের জন্য শুরু থেকেই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছেন এবং জুলাই আন্দোলনকে উপমহাদেশের একটি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর শুধু একজন তাত্ত্বিক ছিলেন না, বরং একজন সংগ্রামীও ছিলেন, যিনি আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাশীল মানুষদের জন্য তার লেখা এবং জীবনদর্শন এক অনন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে। শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বদরুদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, ৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন এবং রোববার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার অবদানের জন্য সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

আপডেট সময় ০৫:১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন ও সংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করে পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়া বদরুদ্দীন উমর ছিলেন মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতীক।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তার অবিচল নিষ্ঠা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তনের জন্য শুরু থেকেই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছেন এবং জুলাই আন্দোলনকে উপমহাদেশের একটি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর শুধু একজন তাত্ত্বিক ছিলেন না, বরং একজন সংগ্রামীও ছিলেন, যিনি আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাশীল মানুষদের জন্য তার লেখা এবং জীবনদর্শন এক অনন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে। শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বদরুদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, ৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন এবং রোববার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার অবদানের জন্য সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।