০৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ভবিষ্যতে ইসরায়েলি হামলার জবাব আরও কঠোর হবে: ইরান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভবিষ্যতে ইসরায়েল নতুন কোনো হামলা চালালে তার জবাব অতীতের তুলনায় আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কমিশনের প্রধান ইব্রাহিম আজিজি বলেন, ইসরায়েল বা তাদের সমর্থকদের পক্ষ থেকে যেকোনো আক্রমণের মুখে ইরান ও তার সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, ‘আগামীতে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর এবং চূড়ান্ত হবে।’

আজিজি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল একা ছিল না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ সামরিকভাবে তেল আবিবকে সমর্থন দিয়েছিল। তার ভাষায়, ‘এই সংঘাতকে কেবল ইরান ও ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় লড়াই হিসেবে দেখা যাবে না, কারণ এর পেছনে একাধিক দেশের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।’

তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের পাল্টা সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়ে তাদের দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বার্তা পাঠায়। আজিজির মতে, ‘তারা ইরানের সামরিক সক্ষমতা উপলব্ধি করেছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে এক উস্কানিমূলক হামলা শুরু করে, যা পরবর্তীতে ১২ দিনের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে পরিণত হয়। এতে ইরানের সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রও তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে এ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়।

এর পাল্টা জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কৌশলগত স্থাপনাসহ কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সফল প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাধ্যমে ইরান এই আগ্রাসন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভবিষ্যতে ইসরায়েলি হামলার জবাব আরও কঠোর হবে: ইরান

আপডেট সময় ০১:২২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

ভবিষ্যতে ইসরায়েল নতুন কোনো হামলা চালালে তার জবাব অতীতের তুলনায় আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কমিশনের প্রধান ইব্রাহিম আজিজি বলেন, ইসরায়েল বা তাদের সমর্থকদের পক্ষ থেকে যেকোনো আক্রমণের মুখে ইরান ও তার সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, ‘আগামীতে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর এবং চূড়ান্ত হবে।’

আজিজি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল একা ছিল না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ সামরিকভাবে তেল আবিবকে সমর্থন দিয়েছিল। তার ভাষায়, ‘এই সংঘাতকে কেবল ইরান ও ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় লড়াই হিসেবে দেখা যাবে না, কারণ এর পেছনে একাধিক দেশের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।’

তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের পাল্টা সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়ে তাদের দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বার্তা পাঠায়। আজিজির মতে, ‘তারা ইরানের সামরিক সক্ষমতা উপলব্ধি করেছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে এক উস্কানিমূলক হামলা শুরু করে, যা পরবর্তীতে ১২ দিনের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে পরিণত হয়। এতে ইরানের সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রও তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে এ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়।

এর পাল্টা জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কৌশলগত স্থাপনাসহ কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সফল প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাধ্যমে ইরান এই আগ্রাসন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।