০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প

ভবিষ্যতে ইসরায়েলি হামলার জবাব আরও কঠোর হবে: ইরান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 100

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভবিষ্যতে ইসরায়েল নতুন কোনো হামলা চালালে তার জবাব অতীতের তুলনায় আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কমিশনের প্রধান ইব্রাহিম আজিজি বলেন, ইসরায়েল বা তাদের সমর্থকদের পক্ষ থেকে যেকোনো আক্রমণের মুখে ইরান ও তার সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, ‘আগামীতে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর এবং চূড়ান্ত হবে।’

আজিজি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল একা ছিল না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ সামরিকভাবে তেল আবিবকে সমর্থন দিয়েছিল। তার ভাষায়, ‘এই সংঘাতকে কেবল ইরান ও ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় লড়াই হিসেবে দেখা যাবে না, কারণ এর পেছনে একাধিক দেশের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।’

তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের পাল্টা সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়ে তাদের দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বার্তা পাঠায়। আজিজির মতে, ‘তারা ইরানের সামরিক সক্ষমতা উপলব্ধি করেছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে এক উস্কানিমূলক হামলা শুরু করে, যা পরবর্তীতে ১২ দিনের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে পরিণত হয়। এতে ইরানের সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রও তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে এ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়।

এর পাল্টা জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কৌশলগত স্থাপনাসহ কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সফল প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাধ্যমে ইরান এই আগ্রাসন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভবিষ্যতে ইসরায়েলি হামলার জবাব আরও কঠোর হবে: ইরান

আপডেট সময় ০১:২২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

ভবিষ্যতে ইসরায়েল নতুন কোনো হামলা চালালে তার জবাব অতীতের তুলনায় আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কমিশনের প্রধান ইব্রাহিম আজিজি বলেন, ইসরায়েল বা তাদের সমর্থকদের পক্ষ থেকে যেকোনো আক্রমণের মুখে ইরান ও তার সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, ‘আগামীতে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর এবং চূড়ান্ত হবে।’

আজিজি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল একা ছিল না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ সামরিকভাবে তেল আবিবকে সমর্থন দিয়েছিল। তার ভাষায়, ‘এই সংঘাতকে কেবল ইরান ও ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় লড়াই হিসেবে দেখা যাবে না, কারণ এর পেছনে একাধিক দেশের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।’

তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের পাল্টা সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়ে তাদের দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বার্তা পাঠায়। আজিজির মতে, ‘তারা ইরানের সামরিক সক্ষমতা উপলব্ধি করেছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে এক উস্কানিমূলক হামলা শুরু করে, যা পরবর্তীতে ১২ দিনের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে পরিণত হয়। এতে ইরানের সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রও তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে এ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়।

এর পাল্টা জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কৌশলগত স্থাপনাসহ কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সফল প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাধ্যমে ইরান এই আগ্রাসন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।