সন্ত্রাসবাদ ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল
- আপডেট সময় ০২:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
- / 43
যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রায় ছয় হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাবিষয়ক ভিসা বাতিল করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এসব শিক্ষার্থী ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন এবং অনেকেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশটিতে অবস্থান করছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— সহিংসতা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, চুরি, এমনকি সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আইন ভেঙেছেন, আর দুই শতাধিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিশেষ করে ২০২৫ সালের শুরুতে নতুন নীতিমালা কার্যকর হয়, যেখানে আবেদনকারীদের সামাজিকমাধ্যমের সব তথ্য জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। এমনকি তাদের অতীত কার্যকলাপ যাচাই করে দেখা হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্র বা এর জনগণের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন কি না।
এই পদক্ষেপে সমালোচকরা বলছেন, অনেক শিক্ষার্থী আসল অপরাধে জড়িত নন, বরং মতপ্রকাশ বা বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তাদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কিছু শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। তার ভাষায়, “যারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের আমরা দেশে রাখতে চাই না।”





















