তৃপ্তি দিমরির খোলামেলা স্বীকারোক্তি: অভিনেত্রী হওয়ার জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলেন

- আপডেট সময় ১১:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
- / 10
অভিনয়জগতে তাঁর পূর্বসূরি কেউ ছিলেন না। কিন্তু অভিনয়শিল্পী হওয়ার অদম্য ইচ্ছা বুকে নিয়ে উত্তরাখণ্ড থেকে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তৃপ্তি দিমরি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ধড়ক ২–এর প্রচারণায় তিনি ফিরে গেলেন সেই শুরুর দিনগুলোয়।
আবেগঘন কণ্ঠে তৃপ্তি বললেন, “আমি বিধি চরিত্রে অভিনয় করেছি, যে খুব সাহসী এক মেয়ে। বাস্তব জীবনেও আমি সাহস করে ঘর, পরিবার, পরিচিত শহর ছেড়ে একেবারে নতুন শহরে এসেছিলাম। পরিবারের সবার আপত্তি সত্ত্বেও আমার স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে এগিয়েছি। তখন মনে হয়েছিল, অভিনেত্রী হওয়ার জন্য জীবন দিতে হলেও রাজি।”
তিনি জানান, চরিত্রটির সঙ্গে নিজের পুরোপুরি মিল খুঁজে না পেলেও সাহসী মানসিকতা তাঁকে বদলে দিয়েছে। এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তি পান।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ধড়ক–এর সাফল্যের পর এর সিক্যুয়েল নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল বেশি। তবে তৃপ্তি বললেন, মুক্তির আগে তিনি কোনো চাপ নেন না—“চাপ নিলে অভিনয়ের আনন্দ নষ্ট হয়ে যায়। সিনেমা হিট বা ফ্লপ হবে সেটা না ভেবে পুরো প্রক্রিয়াটা উপভোগ করাই আসল।”
ধড়ক ২–এ আবেগ, রোমান্সের পাশাপাশি জাতপাত ও বর্ণবাদের মতো সামাজিক বাস্তবতাও উঠে এসেছে। তৃপ্তির মতে, “একটা ভালো সিনেমা মানুষকে সমৃদ্ধ করে, সংবেদনশীল করে তোলে। যদি এই ছবি কয়েকজনের মনেও পরিবর্তন আনতে পারে, তাহলেই সার্থকতা।”
সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে তাঁর পর্দার রসায়ন নিয়েও তিনি বলেন, পরিচালক শাজিয়ার বিশেষ ওয়ার্কশপই তাঁদের মধ্যে সহজ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
আট বছরের ক্যারিয়ারে বুলবুল, কলার মতো প্রশংসিত কাজ করেছেন তৃপ্তি। প্রথম দুই ছবির বক্স অফিস ব্যর্থতা নিয়েও কোনো আক্ষেপ নেই তাঁর—“প্রতিটি চরিত্রে সমানভাবে মনপ্রাণ ঢেলেছি। সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে না ভেবে কাজ করে যাই।”
শেষে তৃপ্তি বলেন, “আমার যাত্রা নিয়ে আমি খুশি। পথে ভুল করেছি, শিখেছি, ঠিক করেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার আফসোস নেই।”