গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রয়োজনে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৩:২৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
- / 4
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ প্রয়োজনে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
শনিবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।” তিনি আরও বলেন, “যদি নিহতদের মরদেহের প্রয়োজন হয়, তাহলে আইনি প্রক্রিয়ায় তা উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।”
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন বা সৎকার করা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে এটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কোনো অবহেলা বা গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত বুধবার এনসিপির একটি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দিনভর সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও সহিংসতায় প্রাণ হারান পাঁচজন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং প্রতিপক্ষের আগ্রাসী আচরণের কারণেই সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার পরপরই সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় ওঠে। নিহতদের দাফনের আগেই ময়নাতদন্ত না করায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকার এই ঘটনায় কোনো পক্ষপাতিত্ব করছে না। তদন্তের ভিত্তিতে সত্য উদঘাটন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণই সরকারের লক্ষ্য।