ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জন আটক, মামলা প্রস্তুতিতে পুলিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত জুলাই মাসের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।

আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি সাজেদুর রহমান জানান, বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গত রাত তিনটার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আটক ১৪ জনকে থানায় হস্তান্তর করে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিবেশ শান্ত আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বুধবার দিনভর এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব সহিংস কর্মকাণ্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে।

এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ রাতেই শহরে কারফিউ জারি করে, যা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

রাতভর আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় কাটে গোপালগঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের। আজ সকালেও শহরের পরিবেশ ছিল থমথমে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সড়ক ও বাজারে লোকজনের আনাগোনা বাড়তে দেখা গেছে। শহরের রাস্তাগুলোতে পড়ে থাকা ইট, বাঁশ ও কাঠের টুকরা সরাতে সকাল থেকেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছেন।

সাম্প্রতিক এই সহিংসতার ঘটনায় শহরের জনগণের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখা হয়েছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জন আটক, মামলা প্রস্তুতিতে পুলিশ

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত জুলাই মাসের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।

আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি সাজেদুর রহমান জানান, বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গত রাত তিনটার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আটক ১৪ জনকে থানায় হস্তান্তর করে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিবেশ শান্ত আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বুধবার দিনভর এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব সহিংস কর্মকাণ্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে।

এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ রাতেই শহরে কারফিউ জারি করে, যা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

রাতভর আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় কাটে গোপালগঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের। আজ সকালেও শহরের পরিবেশ ছিল থমথমে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সড়ক ও বাজারে লোকজনের আনাগোনা বাড়তে দেখা গেছে। শহরের রাস্তাগুলোতে পড়ে থাকা ইট, বাঁশ ও কাঠের টুকরা সরাতে সকাল থেকেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছেন।

সাম্প্রতিক এই সহিংসতার ঘটনায় শহরের জনগণের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখা হয়েছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।