ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়ায় বৃদ্ধা ও পুত্রবধূকে গলা কেটে হত্যা গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন নাহিদ ইসলাম গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া ছবি ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ: প্রেস উইং যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা উপকূলে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু সিরিয়ায় ইসরাইলের তাণ্ডব, তিন দিনে ১৬০ বার বিমান হামলা গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে আজ এনসিপির সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ বা বিঘ্নিত হয়নি: প্রেস উইং গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪, গুলিবিদ্ধ আরও ৯ জন কারফিউর ভেতর থমথমে গোপালগঞ্জ, সড়কে এখনও পড়ে আছে সহিংসতার চিহ্ন

টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বিজিবির অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি কিরিচ ও ৩৮টি গুলি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এই অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার রাতের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেয় টেকনাফ ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রঙ্গীখালী পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। যে স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়েছে, সেটি স্থানীয় একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

অভিযান চলাকালে বিজিবি সদস্যরা এলাকাটি ঘেরাও করে তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় একটি রিভলভার, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি এলজি ও একটি গাদাবন্দুক উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে রিভলভারের ২১টি গুলি, রাইফেলের ১৪টি গুলি, তিনটি ছররা গুলি, পাঁচটি গুলির খোসা এবং তিনটি কিরিচ উদ্ধার করে বাহিনীটি।

তবে অভিযান শুরু হওয়ার আগেই অস্ত্রধারী ডাকাতদলটির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অভিযান বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেই নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।

টেকনাফ ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আজ বুধবার সকালে গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি টেকনাফ মডেল থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অস্ত্র ও গুলির উৎস এবং সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে বিজিবির এমন অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের মতে, রঙ্গীখালী পাহাড় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সশস্ত্র অপরাধী চক্রের গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত অভিযান ছাড়া এ ধরনের এলাকা থেকে অস্ত্র ও অপরাধীদের নির্মূল করা কঠিন বলে মনে করেন তাঁরা।

বিজিবির এ অভিযানে আবারও স্পষ্ট হলো সীমান্ত অঞ্চলে অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বাহিনীটির সক্রিয়তা এবং প্রতিজ্ঞা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বিজিবির অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আপডেট সময় ০২:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি কিরিচ ও ৩৮টি গুলি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এই অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার রাতের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেয় টেকনাফ ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রঙ্গীখালী পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। যে স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়েছে, সেটি স্থানীয় একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

অভিযান চলাকালে বিজিবি সদস্যরা এলাকাটি ঘেরাও করে তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় একটি রিভলভার, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি এলজি ও একটি গাদাবন্দুক উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে রিভলভারের ২১টি গুলি, রাইফেলের ১৪টি গুলি, তিনটি ছররা গুলি, পাঁচটি গুলির খোসা এবং তিনটি কিরিচ উদ্ধার করে বাহিনীটি।

তবে অভিযান শুরু হওয়ার আগেই অস্ত্রধারী ডাকাতদলটির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অভিযান বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেই নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।

টেকনাফ ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আজ বুধবার সকালে গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি টেকনাফ মডেল থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অস্ত্র ও গুলির উৎস এবং সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে বিজিবির এমন অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের মতে, রঙ্গীখালী পাহাড় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সশস্ত্র অপরাধী চক্রের গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত অভিযান ছাড়া এ ধরনের এলাকা থেকে অস্ত্র ও অপরাধীদের নির্মূল করা কঠিন বলে মনে করেন তাঁরা।

বিজিবির এ অভিযানে আবারও স্পষ্ট হলো সীমান্ত অঞ্চলে অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বাহিনীটির সক্রিয়তা এবং প্রতিজ্ঞা।