ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

তিস্তা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে এ বছরই: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, এখন পরিকল্পনার নীতিগত দিকগুলো চূড়ান্ত করার পালা।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ। এটি চীন ও বাংলাদেশের যৌথ প্রকল্প। ফলে এর বাস্তবায়নে উভয় দেশের সম্মতি ও সমন্বয় জরুরি। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় অনেকদূর এগিয়েছি। আগামী ১৭ জুলাই বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।”

তিনি আরও জানান, এই আলোচনার ভিত্তিতেই পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তাবনা সরকারে উপস্থাপন করা হবে। পরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তা চূড়ান্ত করে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। চীনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

এসময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরিকল্পনার সকল ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হলে তিস্তা অববাহিকার উন্নয়ন এবং নদী ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।

সৈয়দপুরে ব্রিফিং শেষে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সড়কপথে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

তিস্তা মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি মডেল গড়ে তোলার আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিস্তা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে এ বছরই: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় ০২:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, এখন পরিকল্পনার নীতিগত দিকগুলো চূড়ান্ত করার পালা।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ। এটি চীন ও বাংলাদেশের যৌথ প্রকল্প। ফলে এর বাস্তবায়নে উভয় দেশের সম্মতি ও সমন্বয় জরুরি। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় অনেকদূর এগিয়েছি। আগামী ১৭ জুলাই বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।”

তিনি আরও জানান, এই আলোচনার ভিত্তিতেই পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তাবনা সরকারে উপস্থাপন করা হবে। পরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তা চূড়ান্ত করে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। চীনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

এসময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরিকল্পনার সকল ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হলে তিস্তা অববাহিকার উন্নয়ন এবং নদী ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।

সৈয়দপুরে ব্রিফিং শেষে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সড়কপথে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

তিস্তা মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি মডেল গড়ে তোলার আশা করা হচ্ছে।