ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

গাজায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৭৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি হামলায় ফের রক্তাক্ত হল ফিলিস্তিন। ত্রাণ নিতে আসা শিশু ও সাধারণ মানুষসহ অন্তত ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ক্রমবর্ধমান অবরোধে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে জানা যায়, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের নিকট হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৫ জন ত্রাণপ্রার্থী প্রাণ হারান।

এ নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী এবং মার্কিন সমর্থিত কুখ্যাত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ কেন্দ্রে হামলায় মোট ৮৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ৯ জন ফিলিস্তিনি। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন আরও ৪ জন।

উত্তর গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে জানানো হয়, সেখানে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক হামলার শিকার হয়। পরে আইডিএফ জানায়, ওই ঘটনায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে। এর জবাবে তুফাহ এবং শুজাইয়া পাড়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।

এসব হামলায় শুধু গাজা শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

এদিকে ইসরায়েলের কঠোর অবরোধে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। খাদ্য সংকটও চরমে পৌঁছেছে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল যাতে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। তবে বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি মানা হয়নি। গাজার জনগণ এখনো প্রয়োজনীয় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত।

গাজায় প্রতিদিনের এই নিষ্ঠুরতা ও মানবিক সংকটে বিশ্ব বিবেক এখনও কার্যকরভাবে সাড়া দেয়নি—এই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৭৮

আপডেট সময় ১২:২২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি হামলায় ফের রক্তাক্ত হল ফিলিস্তিন। ত্রাণ নিতে আসা শিশু ও সাধারণ মানুষসহ অন্তত ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ক্রমবর্ধমান অবরোধে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে জানা যায়, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের নিকট হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৫ জন ত্রাণপ্রার্থী প্রাণ হারান।

এ নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী এবং মার্কিন সমর্থিত কুখ্যাত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ কেন্দ্রে হামলায় মোট ৮৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ৯ জন ফিলিস্তিনি। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন আরও ৪ জন।

উত্তর গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে জানানো হয়, সেখানে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক হামলার শিকার হয়। পরে আইডিএফ জানায়, ওই ঘটনায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে। এর জবাবে তুফাহ এবং শুজাইয়া পাড়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।

এসব হামলায় শুধু গাজা শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

এদিকে ইসরায়েলের কঠোর অবরোধে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। খাদ্য সংকটও চরমে পৌঁছেছে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল যাতে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। তবে বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি মানা হয়নি। গাজার জনগণ এখনো প্রয়োজনীয় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত।

গাজায় প্রতিদিনের এই নিষ্ঠুরতা ও মানবিক সংকটে বিশ্ব বিবেক এখনও কার্যকরভাবে সাড়া দেয়নি—এই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা।