ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 9

ছবি: সংগৃহীত

 

লবঙ্গ (Clove) আমাদের রান্নাঘরের পরিচিত একটি মসলা, যার ঘ্রাণ তীব্র ও স্বাদ ঝাঁঝালো। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানো নয়, লবঙ্গের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা, বিশেষ করে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিরাময়ে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রে লবঙ্গ ব্যবহারের ইতিহাস বহু পুরনো। এতে থাকে ইউজেনল নামক একটি সক্রিয় যৌগ, যা প্রদাহনাশক ও জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। চলুন জেনে নিই, সর্দি-কাশি দূর করতে লবঙ্গ কীভাবে উপকার করে:

১. কাশি উপশমে কার্যকর: লবঙ্গের মধ্যে থাকা ইউজেনল কফকে আলগা করে এবং ফুসফুস থেকে তা সহজে বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি কাশি কমাতে স্বাভাবিক এক ঔষধি গুণে পরিণত হয়েছে। শুকনো কাশি হোক বা কফযুক্ত কাশি উভয় ক্ষেত্রেই লবঙ্গ উপকারী। গরম পানিতে লবঙ্গ সেদ্ধ করে তা পান করলে শ্বাসনালীর প্রদাহ কমে এবং স্বস্তি মেলে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কাশির তীব্রতা হ্রাস পায়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে কাশি সম্পূর্ণভাবে সেরে যায়।

২. সর্দি ও নাক বন্ধ সমস্যায় লবঙ্গের প্রভাব: সর্দির কারণে অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। লবঙ্গের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান এই উপসর্গ দূর করতে কার্যকর। এক কাপ গরম পানিতে কয়েকটি লবঙ্গ ফেলে দিয়ে তা দিয়ে ভাপ নেওয়া গেলে নাক বন্ধের সমস্যা দ্রুত উপশম হয়। এতে সাইনাসের জটিলতাও কমে যায়। এছাড়া লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা সর্দিজনিত দুর্বলতা হ্রাস করে এবং দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে ভূমিকা রাখে।

৩. গলা ব্যথা ও খুসখুসে কাশিতে আরাম দেয়: গলা খুসখুসে করা কিংবা ব্যথা হওয়া সর্দি-কাশির অন্যতম উপসর্গ। এই উপসর্গে লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। এতে থাকা জীবাণুনাশক উপাদান গলার ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। এক টুকরো লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষে খেলে গলার ব্যথা ও খুসখুসে ভাব অনেকটাই কমে যায়। অনেকে লবঙ্গ, মধু ও আদা একসঙ্গে মিশিয়ে পান করেন এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। প্রতিদিন সকালে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণ সেবন করলে গলা ঝাড়া হয় এবং কথা বলার স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসে।

৪. প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে: লবঙ্গের অ্যান্টিসেপ্টিক ও জীবাণুনাশক গুণ সর্দি-কাশিজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে থামিয়ে দেয়, বিশেষ করে শীতকালে যখন এসব জীবাণু দ্রুত ছড়ায়। ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় মুখে ঘা বা গলার পেছনে ইনফেকশন হতে পারে, যা লবঙ্গ দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ হতে চান, তখন লবঙ্গ হতে পারে একটি নিরাপদ ও কার্যকর পন্থা।

৫. ইমিউন সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: সর্দি-কাশির মূল কারণই হলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘সি’ দেহের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। নিয়মিত লবঙ্গ সেবনের মাধ্যমে দেহে সাদা রক্তকণিকার (WBC) কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডা, ভাইরাল ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগ সহজে হয় না। লবঙ্গ-চা বা লবঙ্গ-মধু মিশ্রিত পানীয় এই উদ্দেশ্যে খুব উপকারী হিসেবে কাজ করে।

৬. বুকে জমে থাকা কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে: সর্দি-কাশির সময় কফ বুকে জমে গেলে তা শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ফুসফুসে চাপ পড়ে। লবঙ্গ একটি প্রাকৃতিক এক্সপেক্টোরান্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি জমে থাকা কফকে পাতলা করে শরীর থেকে বের করে দেয়। দিনে ২-৩ বার লবঙ্গ চা খাওয়া কিংবা লবঙ্গ গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে কফ সহজে বেরিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া বুকে হালকা অনুভূতি দেয় ও শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে। ফলে শ্বাসকষ্ট কমে এবং দেহে অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

৭. উষ্ণতা প্রদান করে ঠান্ডা প্রতিরোধ করে: শীতকালে বা ঠান্ডাজনিত আবহাওয়ায় দেহে উষ্ণতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঠান্ডা পড়লে সর্দি-কাশি সহজেই হয়ে যায়। লবঙ্গ স্বভাবে উষ্ণ প্রকৃতির, যা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন সকালে লবঙ্গ-চা পান করলে শরীরের ভিতরে একটি উষ্ণতা সৃষ্টি হয়, যা সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করে। এছাড়া শিশুরা বা বয়স্করাও এটি সহজে সেবন করতে পারে।

সর্দি-কাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ হানা দিতে পারে, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময়। ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময় চাইলে লবঙ্গ হতে পারে একটি দারুণ সমাধান। এটি যেমন সহজলভ্য, তেমনি কার্যকর ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। উপরে বর্ণিত প্রতিটি পদ্ধতি আপনার বাড়িতেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে, কারও যদি এলার্জি বা অন্যান্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে লবঙ্গ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। সুস্থ থাকতে লবঙ্গকে প্রতিদিনকার খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করুন, আর সর্দি-কাশিকে বলুন বিদায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপডেট সময় ০৬:৪০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

লবঙ্গ (Clove) আমাদের রান্নাঘরের পরিচিত একটি মসলা, যার ঘ্রাণ তীব্র ও স্বাদ ঝাঁঝালো। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানো নয়, লবঙ্গের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা, বিশেষ করে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিরাময়ে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রে লবঙ্গ ব্যবহারের ইতিহাস বহু পুরনো। এতে থাকে ইউজেনল নামক একটি সক্রিয় যৌগ, যা প্রদাহনাশক ও জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। চলুন জেনে নিই, সর্দি-কাশি দূর করতে লবঙ্গ কীভাবে উপকার করে:

১. কাশি উপশমে কার্যকর: লবঙ্গের মধ্যে থাকা ইউজেনল কফকে আলগা করে এবং ফুসফুস থেকে তা সহজে বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি কাশি কমাতে স্বাভাবিক এক ঔষধি গুণে পরিণত হয়েছে। শুকনো কাশি হোক বা কফযুক্ত কাশি উভয় ক্ষেত্রেই লবঙ্গ উপকারী। গরম পানিতে লবঙ্গ সেদ্ধ করে তা পান করলে শ্বাসনালীর প্রদাহ কমে এবং স্বস্তি মেলে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কাশির তীব্রতা হ্রাস পায়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে কাশি সম্পূর্ণভাবে সেরে যায়।

২. সর্দি ও নাক বন্ধ সমস্যায় লবঙ্গের প্রভাব: সর্দির কারণে অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। লবঙ্গের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান এই উপসর্গ দূর করতে কার্যকর। এক কাপ গরম পানিতে কয়েকটি লবঙ্গ ফেলে দিয়ে তা দিয়ে ভাপ নেওয়া গেলে নাক বন্ধের সমস্যা দ্রুত উপশম হয়। এতে সাইনাসের জটিলতাও কমে যায়। এছাড়া লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা সর্দিজনিত দুর্বলতা হ্রাস করে এবং দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে ভূমিকা রাখে।

৩. গলা ব্যথা ও খুসখুসে কাশিতে আরাম দেয়: গলা খুসখুসে করা কিংবা ব্যথা হওয়া সর্দি-কাশির অন্যতম উপসর্গ। এই উপসর্গে লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। এতে থাকা জীবাণুনাশক উপাদান গলার ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। এক টুকরো লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষে খেলে গলার ব্যথা ও খুসখুসে ভাব অনেকটাই কমে যায়। অনেকে লবঙ্গ, মধু ও আদা একসঙ্গে মিশিয়ে পান করেন এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। প্রতিদিন সকালে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণ সেবন করলে গলা ঝাড়া হয় এবং কথা বলার স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসে।

৪. প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে: লবঙ্গের অ্যান্টিসেপ্টিক ও জীবাণুনাশক গুণ সর্দি-কাশিজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে থামিয়ে দেয়, বিশেষ করে শীতকালে যখন এসব জীবাণু দ্রুত ছড়ায়। ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় মুখে ঘা বা গলার পেছনে ইনফেকশন হতে পারে, যা লবঙ্গ দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ হতে চান, তখন লবঙ্গ হতে পারে একটি নিরাপদ ও কার্যকর পন্থা।

৫. ইমিউন সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: সর্দি-কাশির মূল কারণই হলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘সি’ দেহের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। নিয়মিত লবঙ্গ সেবনের মাধ্যমে দেহে সাদা রক্তকণিকার (WBC) কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডা, ভাইরাল ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগ সহজে হয় না। লবঙ্গ-চা বা লবঙ্গ-মধু মিশ্রিত পানীয় এই উদ্দেশ্যে খুব উপকারী হিসেবে কাজ করে।

৬. বুকে জমে থাকা কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে: সর্দি-কাশির সময় কফ বুকে জমে গেলে তা শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ফুসফুসে চাপ পড়ে। লবঙ্গ একটি প্রাকৃতিক এক্সপেক্টোরান্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি জমে থাকা কফকে পাতলা করে শরীর থেকে বের করে দেয়। দিনে ২-৩ বার লবঙ্গ চা খাওয়া কিংবা লবঙ্গ গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে কফ সহজে বেরিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া বুকে হালকা অনুভূতি দেয় ও শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে। ফলে শ্বাসকষ্ট কমে এবং দেহে অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

৭. উষ্ণতা প্রদান করে ঠান্ডা প্রতিরোধ করে: শীতকালে বা ঠান্ডাজনিত আবহাওয়ায় দেহে উষ্ণতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঠান্ডা পড়লে সর্দি-কাশি সহজেই হয়ে যায়। লবঙ্গ স্বভাবে উষ্ণ প্রকৃতির, যা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন সকালে লবঙ্গ-চা পান করলে শরীরের ভিতরে একটি উষ্ণতা সৃষ্টি হয়, যা সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করে। এছাড়া শিশুরা বা বয়স্করাও এটি সহজে সেবন করতে পারে।

সর্দি-কাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ হানা দিতে পারে, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময়। ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময় চাইলে লবঙ্গ হতে পারে একটি দারুণ সমাধান। এটি যেমন সহজলভ্য, তেমনি কার্যকর ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। উপরে বর্ণিত প্রতিটি পদ্ধতি আপনার বাড়িতেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে, কারও যদি এলার্জি বা অন্যান্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে লবঙ্গ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। সুস্থ থাকতে লবঙ্গকে প্রতিদিনকার খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করুন, আর সর্দি-কাশিকে বলুন বিদায়।