গুপ্তচরবৃত্তিতে মৃত্যুদণ্ড ও সম্পত্তি জব্দের আইন পাস করলো ইরান

- আপডেট সময় ০১:২৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / 9
গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশোধিত আইন পাস করেছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে এই সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি শত্রু রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর হয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বা গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কোনো অপারেশন পরিচালনায় জড়িত থাকে, তা প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
শত্রু রাষ্ট্র ও গোষ্ঠী নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে। অপরদিকে, এসব শত্রুদের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করার দায়িত্ব পালন করবে মিনিস্ট্রি অব ইন্টেলিজেন্স।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে অন্য শত্রু গোষ্ঠী ও রাষ্ট্র চিহ্নিত করার ক্ষমতা থাকবে নিরাপত্তা পরিষদের হাতে।
আগের খসড়া প্রস্তাবে শত্রু পক্ষের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা না থাকায় সেটি ফিরিয়ে দিয়েছিল গার্ডিয়ান কাউন্সিল। নতুন সংশোধনীতে সেই ঘাটতি পূরণ করে বিলটি সংসদে আবার তোলা হয় এবং তা পাশ হয়।
সংশোধিত আইনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যারা শত্রু নেটওয়ার্কে তথ্য বা ভিডিও পাঠিয়ে জনমনে বিভাজন তৈরি করে বা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাদেরও অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ধরনের অপরাধে অভিযুক্তদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সরকারি ও জনসেবামূলক চাকরি থেকে চিরতরে বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তির ক্ষেত্রে আপিল করা যাবে না। তবে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ থাকবে, যা করতে হবে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে।
বিলটি পাশ হওয়ার পর দেশটির বেশ কয়েকজন আইনজীবী এর সমালোচনা করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ দূতও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ আইনটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।