ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনের আচরণে হতাশা প্রকাশ

- আপডেট সময় ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / 8
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ঘোষণাটি এমন এক সময় এল, যখন রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। খবর আল জাজিরার।
রোববার (১৩ জুলাই) ম্যারিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দিচ্ছি। এটি তাদের খুব প্রয়োজন।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “পুতিন অনেক মানুষকে বিস্মিত করেছেন। তিনি ভালো ভালো কথা বলেন, অথচ সন্ধ্যায় গিয়ে বোমা ফেলেন। এটা একটা সমস্যা যা আমি কখনোই পছন্দ করি না।”
ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি চুক্তির পথে কোনো অগ্রগতি না থাকায় ক্রমেই হতাশ হচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পুতিন সব সময় ভদ্রভাবে কথা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অর্থহীন প্রমাণিত হয়।”
গত সপ্তাহেই ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করেছে, তারা ইউরোপের ন্যাটো মিত্রদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, যা পরবর্তীতে ইউক্রেনে সরবরাহ করা হবে। এ বিষয় নিয়ে চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। একই সময়ে মার্ক রুটে ওয়াশিংটন সফরে আসছেন।
ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতা কমিয়ে দেন। তিনি ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তাকে করদাতাদের জন্য ‘অতিরিক্ত বোঝা’ হিসেবে আখ্যা দেন। এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও শান্তির পথে অন্তরায় বলে মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের সময় ইউক্রেন বিপুল পরিমাণে মার্কিন অস্ত্র পেয়ে আসছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প এখন ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মাধ্যমে হয়তো পুতিনের ওপর চাপ বাড়াতে চান তিনি।
রোববার সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন কি না। ট্রাম্প সরাসরি কিছু না বললেও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর খুবই হতাশ। আমি ভেবেছিলাম, তিনি যা বলেন, তা তিনি বিশ্বাস করেন।”