বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত ইউরোপ-এশিয়া-আমেরিকা, পাকিস্তানে মৃত বেড়ে ১০৪

- আপডেট সময় ১১:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 2
টানা ভারি বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় ইউরোপ, এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি স্থবির হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন।
পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিপাতে নতুন করে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে বন্যাজনিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাহাড়ি ঢল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বিভিন্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জিয়ামেন শহরে একদিনেই ১৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গত ছয় দশকে সর্বোচ্চ। কোমর সমান পানিতে আটকে পড়া বহু মানুষকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বৃষ্টির কারণে স্থানীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সারাগোসা প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। রাস্তাঘাট ও আন্ডারপাস পানিতে ডুবে যাওয়ায় জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, কাতালোনিয়া, ভ্যালেন্সিয়া ও ক্যাস্তেয়নসহ অন্তত আটটি প্রদেশে রয়েছে বন্যার উচ্চ ঝুঁকি। কাতালোনিয়ায় অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে স্থানীয় ট্রেন পরিষেবা। মোবাইল বার্তার মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করছে সরকার।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে চলমান বন্যা একে বলা হচ্ছে শতাব্দীর ভয়াবহতম। এই দুর্যোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক ট্রাক্টর নদীতে ভেসে গেছে এবং মারা গেছে বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিল কান্ট্রি এলাকা। আগামী রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত টেক্সাসে বন্যা সতর্কতা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা।
বিশ্বজুড়ে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং দুর্বল অবকাঠামোর বাস্তবতা তুলে ধরছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।