ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনের অভাবেই দেশে অস্থিরতা, দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা: মির্জা ফখরুল সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বোগোটায় বৈঠকে ২০টির বেশি দেশ “দেশ এখনও সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়”: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো একটি অদৃশ্য চক্র সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান শুল্কযুদ্ধের ছায়ায় কফি-কমলার বাজার, দুশ্চিন্তায় ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ২-৩টি আসনের প্রস্তাব ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এনসিপি কেনার সাধ্য কারো নেই: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে সংস্কারের নামে সূক্ষ্ম কারচুপি চলছে: ১২ দলীয় জোট প্রধান ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে গাজায়।

তিনি বলেন, “গাজার মানুষ এমন এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায় বাস করছে, যেখানে তাদের সামনে রয়েছে মাত্র দুটি বিকল্প ক্ষুধায় মৃত্যু অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।”

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর জানায়, মে মাস থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন মানুষ। সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে, আর ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের পথে।

তিনি বলেন, “এই সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকির জায়গাগুলো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট।”

এদিকে ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে থাকা লাশ উত্তোলন করেছে এবং ধ্বংস করেছে আশপাশের কবর ও শিবির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গাজা উপত্যকায় মোট ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার শিশু ও নারীসহ সাধারণ নাগরিকেরা এখন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর চলমান হামলা অবিলম্বে বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

আপডেট সময় ১১:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একে ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে গাজায়।

তিনি বলেন, “গাজার মানুষ এমন এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায় বাস করছে, যেখানে তাদের সামনে রয়েছে মাত্র দুটি বিকল্প ক্ষুধায় মৃত্যু অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।”

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর জানায়, মে মাস থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন মানুষ। সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে, আর ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের পথে।

তিনি বলেন, “এই সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকির জায়গাগুলো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট।”

এদিকে ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে থাকা লাশ উত্তোলন করেছে এবং ধ্বংস করেছে আশপাশের কবর ও শিবির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গাজা উপত্যকায় মোট ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার শিশু ও নারীসহ সাধারণ নাগরিকেরা এখন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকট তীব্রতর হচ্ছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা এবং সাধারণ জনগণের ওপর চলমান হামলা অবিলম্বে বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা