ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অচলাবস্থা, ১০ ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ঘোষণা হামাসের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পথ সুগম করতে হামাস জানিয়েছে, তারা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে তারা সতর্ক করে দিয়েছে, ইসরায়েলের অসহযোগিতা এই আলোচনা কঠিন করে তুলেছে। খবর আল জাজিরার।

বুধবার হামাসের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি আসে এমন সময়ে, যখন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, অচিরেই একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যে আলোচনাগুলো চলছে, সেগুলোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি। বিশেষ করে গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর নিরাপদ ব্যবস্থা, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য নিশ্চিত গ্যারান্টির বিষয়গুলো এখনো ঝুলে রয়েছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতা তাহের আল-নুনু বলেন, “আমরা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছি এবং জনগণের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনীয় নমনীয়তাও দেখিয়েছি। গণহত্যা বন্ধ, অবরুদ্ধ গাজায় স্বাধীনভাবে ও সম্মানের সঙ্গে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং স্থায়ী যুদ্ধ অবসানই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ না আমাদের জনগণ একটি নিরাপদ ও স্বাধীন জীবন ফিরে পায়, ততক্ষণ আমরা যুদ্ধবিরতির পথ খোলা রাখতে চাই। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সদিচ্ছার অভাব এবং কার্যকর উদ্যোগ না থাকলে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়া কঠিন।”

বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে মানবিক বিপর্যয় চরমে, অন্যদিকে কূটনৈতিক চেষ্টায় অগ্রগতি না থাকায় গাজায় যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার প্রতি সমর্থন জানালেও, স্থায়ী সমাধান কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে যুদ্ধ থামানোর আহ্বানও।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অচলাবস্থা, ১০ ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ঘোষণা হামাসের

আপডেট সময় ১১:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পথ সুগম করতে হামাস জানিয়েছে, তারা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে তারা সতর্ক করে দিয়েছে, ইসরায়েলের অসহযোগিতা এই আলোচনা কঠিন করে তুলেছে। খবর আল জাজিরার।

বুধবার হামাসের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি আসে এমন সময়ে, যখন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, অচিরেই একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যে আলোচনাগুলো চলছে, সেগুলোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি। বিশেষ করে গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর নিরাপদ ব্যবস্থা, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য নিশ্চিত গ্যারান্টির বিষয়গুলো এখনো ঝুলে রয়েছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতা তাহের আল-নুনু বলেন, “আমরা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছি এবং জনগণের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনীয় নমনীয়তাও দেখিয়েছি। গণহত্যা বন্ধ, অবরুদ্ধ গাজায় স্বাধীনভাবে ও সম্মানের সঙ্গে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং স্থায়ী যুদ্ধ অবসানই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ না আমাদের জনগণ একটি নিরাপদ ও স্বাধীন জীবন ফিরে পায়, ততক্ষণ আমরা যুদ্ধবিরতির পথ খোলা রাখতে চাই। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সদিচ্ছার অভাব এবং কার্যকর উদ্যোগ না থাকলে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়া কঠিন।”

বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে মানবিক বিপর্যয় চরমে, অন্যদিকে কূটনৈতিক চেষ্টায় অগ্রগতি না থাকায় গাজায় যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার প্রতি সমর্থন জানালেও, স্থায়ী সমাধান কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে যুদ্ধ থামানোর আহ্বানও।