চাঁদাবাজিসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে টঙ্গীতে বিএনপির ৫ নেতাকে বহিষ্কার

- আপডেট সময় ০১:১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 8
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দলটি। চলমান বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার অভিযানে টঙ্গী অঞ্চলের ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় নেতারাও।
বুধবার (৯ জুলাই) অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন, একজন চিকিৎসার কারণে বিদেশে অবস্থান করছেন এবং বাকি দুইজন আত্মগোপনে রয়েছেন।
গত ৬ জুলাই (রবিবার) গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। দলীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদাবাজি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই বহিষ্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান স্বপন, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম মোল্লা এবং টঙ্গী পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সাথী। এদের মধ্যে স্বপন ও সাথী গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৮ জুলাই বহিষ্কৃত হন বাসন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টঙ্গীর কলকারখানাগুলো একসময় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে বিএনপিপন্থী নেতাকর্মীরা সেগুলোর দখলে নেন। ঝুট ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও তৃণমূলে কার্যকর কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় এবার কড়াকড়ি শুরু করেছে বিএনপি।
উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলাম কিবরিয়া জনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জনি দাবি করেন, ‘আমার নামে বৈধ চুক্তি আছে, তবে আমি নিজে ব্যবসা করি না।’ অন্যদিকে টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই, এখন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া স্বাভাবিক। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেকোনো পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই।