হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি

- আপডেট সময় ০১:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / 5
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে পূর্ব তিমিরপুর ও আনমনু গ্রামের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহতরা হলেন– পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪২) ও আনমনু গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (৩৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি ও গণ অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আশাহিদ আলী আশা এবং পূর্ব তিমিরপুরের খরছু তালুকদারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ফের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আনমনু গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ শহরের আনমনু পয়েন্টে জড়ো হলে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় দোকানপাট বন্ধ করে দেন। যান চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়ে। রবিবার সকাল ও রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার বিকেলে ফের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত শহরের বাজারে হামলা ও লুটপাট চালায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শামীম আহমদসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সংঘর্ষের সুযোগে সংঘবদ্ধ একটি চক্র অন্তত ৫০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো শহরে নীরবতা নেমে আসে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি। সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত চলছে। শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।”
বর্তমানে শহরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও জনমনে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে পূর্ব তিমিরপুর ও আনমনু গ্রামের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহতরা হলেন– পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪২) ও আনমনু গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (৩৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি ও গণ অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আশাহিদ আলী আশা এবং পূর্ব তিমিরপুরের খরছু তালুকদারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ফের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আনমনু গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ শহরের আনমনু পয়েন্টে জড়ো হলে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় দোকানপাট বন্ধ করে দেন। যান চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়ে। রবিবার সকাল ও রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার বিকেলে ফের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত শহরের বাজারে হামলা ও লুটপাট চালায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শামীম আহমদসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সংঘর্ষের সুযোগে সংঘবদ্ধ একটি চক্র অন্তত ৫০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো শহরে নীরবতা নেমে আসে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি। সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত চলছে। শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।”
বর্তমানে শহরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও জনমনে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।