ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে টানা বর্ষণে বন্যায় প্রাণ গেল ১৯ জনের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানে টানা ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও পার্শ্ববর্তী শহর রাওয়ালপিন্ডিতে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ডনের খবরে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জাতীয় জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র (ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার) জানিয়েছে, ১০ জুলাই পর্যন্ত দেশটির প্রধান নদীগুলোর জলাধার এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টার ভারি বর্ষণে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। প্রদেশটির অন্তত ২২টি জেলা এই মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগেই প্রাদেশিক প্রশাসন ভারী বর্ষণ এবং হঠাৎ বন্যার ব্যাপারে আগাম সতর্কতা দিয়েছিল।

খবরে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত ২২টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ৫টি বাড়ি। অনেক এলাকায় এখনও পানি জমে রয়েছে এবং স্থানীয় মানুষজন বিপাকে পড়েছেন।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আওয়ারান, ঝাল মাগসি, খুজদার, মুসাখাইল, কিলা সাইফুল্লাহ, বারখান, কোলু, লোরালাই এবং ঝোব ও শেরানি জেলার বিভিন্ন অংশ।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের অন্তত ২২টি জেলায় টানা বৃষ্টিপাত চলছে এবং সেখানে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

দেশটির প্রশাসন দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমে বন্যা একটি বার্ষিক চ্যালেঞ্জ। প্রতিবারই এতে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে টানা বর্ষণে বন্যায় প্রাণ গেল ১৯ জনের

আপডেট সময় ১২:৫০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

পাকিস্তানে টানা ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও পার্শ্ববর্তী শহর রাওয়ালপিন্ডিতে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ডনের খবরে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জাতীয় জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র (ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার) জানিয়েছে, ১০ জুলাই পর্যন্ত দেশটির প্রধান নদীগুলোর জলাধার এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টার ভারি বর্ষণে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। প্রদেশটির অন্তত ২২টি জেলা এই মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগেই প্রাদেশিক প্রশাসন ভারী বর্ষণ এবং হঠাৎ বন্যার ব্যাপারে আগাম সতর্কতা দিয়েছিল।

খবরে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত ২২টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ৫টি বাড়ি। অনেক এলাকায় এখনও পানি জমে রয়েছে এবং স্থানীয় মানুষজন বিপাকে পড়েছেন।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আওয়ারান, ঝাল মাগসি, খুজদার, মুসাখাইল, কিলা সাইফুল্লাহ, বারখান, কোলু, লোরালাই এবং ঝোব ও শেরানি জেলার বিভিন্ন অংশ।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের অন্তত ২২টি জেলায় টানা বৃষ্টিপাত চলছে এবং সেখানে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

দেশটির প্রশাসন দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমে বন্যা একটি বার্ষিক চ্যালেঞ্জ। প্রতিবারই এতে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।