অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির নতুন দিগন্ত, বাড়ছে রপ্তানি সম্ভাবনার পরিসর

- আপডেট সময় ১১:৩০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / 8
অস্ট্রেলিয়াকে বিকল্প রপ্তানি বাজার হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। ইউরোপ ও আমেরিকার পাশাপাশি ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে দ্রুত, যার শীর্ষে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত। বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন পণ্যের সংযোজন ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কয়েকগুণ রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ অস্ট্রেলিয়া, যেখানে জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটির মতো। অর্থনীতির দিক থেকে দেশটি বিশ্বে ২০তম অবস্থানে রয়েছে। টিফা (Trade and Investment Framework Arrangement) চুক্তির পর দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি করছে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, মাছ, কাঁকড়া, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হস্তশিল্প। বিপরীতে বাংলাদেশ আমদানি করছে তুলা, গম, ডাল, তেলবীজ, কপার, জিংক ও লোহা।
গত পাঁচ বছরে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনো কিছুটা বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আব্দুল খান রতন জানান, অস্ট্রেলিয়ায় পাট ও চামড়াজাত পণ্যের ভালো বাজার রয়েছে। তাছাড়া আইটি সেবা এবং মৌসুমি ফলের চাহিদাও বাড়ছে। তিনি বলেন, “বহুমুখী পণ্য রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগালে ঘাটতি কাটিয়ে লাভজনক বাণিজ্য সম্ভব।”
শুধু রপ্তানি নয়, বিনিয়োগেও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের দশম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। উৎপাদন খাতে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ বাড়ছে, যা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে।
দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে অক্টোবর মাসে সিডনিতে বাংলাদেশি পণ্যের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পর বাংলাদেশ আর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। তাই এখনই সময় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে এগোনোর। সিডনির এই এক্সপো হতে পারে সেই সুযোগের ভিত্তি।
এলডিসি উত্তরণ সামনে রেখে রপ্তানি কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও বহুমুখীকরণে জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সম্ভাবনার এই দ্বার যেন হারিয়ে না যায় এমনটাই প্রত্যাশা দেশের ব্যবসায়ীদের।