ইসরায়েলের বিমানবন্দরে ইয়েমেনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, কার্যক্রম বন্ধ

- আপডেট সময় ১০:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
- / 10
ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইয়েমেন বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি। রবিবার ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, এই হামলার ফলে বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। খবর ইরনার।
তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, যা ইসরায়েলের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত, সকালেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, হামলাটি সম্পূর্ণ সফল হয়েছে, যার কারণে বিমানবন্দরের সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং আতঙ্কে তেল আবিবের বহু বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
তিনি আরো বলেন, যতদিন ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন এবং অবরোধ চালিয়ে যাবে, ইয়েমেন তার সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত কয়েক মাস ধরে ইয়েমেন থেকে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যা গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রেড সাগরে ইসরায়েল-সম্পৃক্ত জাহাজের বিরুদ্ধেও ইয়েমেন সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ইয়াহিয়া সারি জানান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র বিমান হামলা সত্ত্বেও ইয়েমেন গাজার পক্ষে অবস্থান নিয়ে এই সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তিনি স্পষ্টভাবে সতর্ক করেন, যদি ইসরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ না করে, তবে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর হামলা আরও বিস্তৃত আকারে চলতে থাকবে।
বিমানবন্দর হামলার ঘটনায় ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে নিরাপত্তা সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিমানবন্দরের কিছু অংশে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।