ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবার বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে দেশের অর্থনীতির দিকেই। জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, বর্তমান শুল্কহার বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে কর্মী ছাঁটাই বাড়বে এবং বিনিয়োগেও দেখা দিতে পারে বড় ধরনের স্থবিরতা।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে বসার পর ট্রাম্প একের পর এক শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এতে শুধু বিদেশি বাণিজ্যেই অস্থিরতা দেখা দেয়নি, বরং সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশীয় অর্থনীতিতে। মার্কিন চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, বিনিয়োগে নেমেছে ভাটা, আর কমেছে ভোক্তা ব্যয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে খুচরা বিক্রি প্রায় ০.৯ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে বাড়তে শুরু করেছে বেকারত্বের হারও, যা এখন ৪ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে গণহারে ছাঁটাইয়ের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান শুল্কহার অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীপ্রতি ব্যয় অনেক গুণ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, ট্রাম্প যদি প্রত্যাশার তুলনায় আরও বেশি শুল্কারোপ করেন, তাহলে মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বার্ষিক ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডলারের আয় রয়েছে—এমন মাঝারি আকারের মার্কিন কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানির একটি বড় অংশ চীন, ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো দেশের উপর নির্ভরশীল। তাই শুল্ক নীতির কারণে বিশেষ করে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা খাত সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক বাড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করার কৌশল বাস্তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো শুল্কের চাপেই বিনিয়োগ কমছে, চাকরি হারাচ্ছেন হাজারো কর্মী, বাজারে তৈরি হচ্ছে নতুন অনিশ্চয়তা। শুল্কের এ অস্থির নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মহল এখন বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত

আপডেট সময় ০৪:১৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবার বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে দেশের অর্থনীতির দিকেই। জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, বর্তমান শুল্কহার বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে কর্মী ছাঁটাই বাড়বে এবং বিনিয়োগেও দেখা দিতে পারে বড় ধরনের স্থবিরতা।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে বসার পর ট্রাম্প একের পর এক শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এতে শুধু বিদেশি বাণিজ্যেই অস্থিরতা দেখা দেয়নি, বরং সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশীয় অর্থনীতিতে। মার্কিন চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, বিনিয়োগে নেমেছে ভাটা, আর কমেছে ভোক্তা ব্যয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে খুচরা বিক্রি প্রায় ০.৯ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে বাড়তে শুরু করেছে বেকারত্বের হারও, যা এখন ৪ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে গণহারে ছাঁটাইয়ের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান শুল্কহার অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীপ্রতি ব্যয় অনেক গুণ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, ট্রাম্প যদি প্রত্যাশার তুলনায় আরও বেশি শুল্কারোপ করেন, তাহলে মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বার্ষিক ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডলারের আয় রয়েছে—এমন মাঝারি আকারের মার্কিন কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানির একটি বড় অংশ চীন, ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো দেশের উপর নির্ভরশীল। তাই শুল্ক নীতির কারণে বিশেষ করে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা খাত সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক বাড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করার কৌশল বাস্তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো শুল্কের চাপেই বিনিয়োগ কমছে, চাকরি হারাচ্ছেন হাজারো কর্মী, বাজারে তৈরি হচ্ছে নতুন অনিশ্চয়তা। শুল্কের এ অস্থির নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মহল এখন বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছে।