ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভেনিজুয়েলায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ভেনিজুয়েলা। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন।

গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভেনিজুয়েলার মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং গুমের ঘটনা ঘটছে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পার্লামেন্ট মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক সভায় সর্বসম্মতভাবে তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট জর্জ রদ্রিগেজ জানান, তুর্ক যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ‘চোখ বন্ধ’ রাখছেন। তিনি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের এল সালভাদরের একটি আটক কেন্দ্রে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ নিয়ে গত মে মাসে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুর্ক বিবৃতি দিয়েছিলেন।

ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগও ক্রমেই বাড়ছে। গত জুলাইয়ের বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে। ঠিক সেই প্রেক্ষাপটেই জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের মন্তব্য ভেনিজুয়েলার সরকারের ক্ষোভকে আরও উসকে দেয়।

তবে ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরও তাৎক্ষণিকভাবে তার ওপর কোনো বড় প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভেনিজুয়েলা সরকার ভবিষ্যতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের হাইকমিশন বরাবরই ভেনিজুয়েলায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার। দেশটিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক বিরোধীদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনা চলে আসছে। তুর্কের সমালোচনাও তারই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ভেনিজুয়েলার পার্লামেন্টের এমন সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভেনিজুয়েলায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আপডেট সময় ০৩:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ভেনিজুয়েলা। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন।

গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভেনিজুয়েলার মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং গুমের ঘটনা ঘটছে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পার্লামেন্ট মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক সভায় সর্বসম্মতভাবে তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট জর্জ রদ্রিগেজ জানান, তুর্ক যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ‘চোখ বন্ধ’ রাখছেন। তিনি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের এল সালভাদরের একটি আটক কেন্দ্রে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ নিয়ে গত মে মাসে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুর্ক বিবৃতি দিয়েছিলেন।

ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগও ক্রমেই বাড়ছে। গত জুলাইয়ের বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে। ঠিক সেই প্রেক্ষাপটেই জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের মন্তব্য ভেনিজুয়েলার সরকারের ক্ষোভকে আরও উসকে দেয়।

তবে ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরও তাৎক্ষণিকভাবে তার ওপর কোনো বড় প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভেনিজুয়েলা সরকার ভবিষ্যতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের হাইকমিশন বরাবরই ভেনিজুয়েলায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার। দেশটিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক বিরোধীদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনা চলে আসছে। তুর্কের সমালোচনাও তারই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ভেনিজুয়েলার পার্লামেন্টের এমন সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।