০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

এনবিআর চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, অবহেলা করলে কঠোর পদক্ষেপ: সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 72

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে সরকার বলেছে, দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম সচল রাখতে কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অত্যাবশ্যকীয় সেবার আওতায় আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরকার আশা প্রকাশ করেছে, আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় সরকার জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো দুর্বল রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা। প্রয়োজনের তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম, যার পেছনে রয়েছে নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ প্রেক্ষিতে এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে সকল অংশীজনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার বাধাগ্রস্ত করতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী গত দুই মাস ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব কার্যক্রম অচল করে রেখেছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সরকার সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী হিসেবে দেখছে।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, অর্থবছরের শেষের দুই মাসে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছে, যা পরিকল্পিত এবং দূরভিসন্ধিমূলক। সরকার আলোচনার মাধ্যমে দাবি সমাধানের আহ্বান জানিয়েও সাড়া পায়নি। এর পরিবর্তে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনমনীয় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর এনবিআর ভবন থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর এবং দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ফলে শুল্কায়নসহ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

সরকার পুনরায় সকলকে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থে এনবিআর সংস্কার বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার কথা জানিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এনবিআর চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, অবহেলা করলে কঠোর পদক্ষেপ: সরকার

আপডেট সময় ০৬:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে সরকার বলেছে, দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম সচল রাখতে কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অত্যাবশ্যকীয় সেবার আওতায় আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরকার আশা প্রকাশ করেছে, আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় সরকার জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো দুর্বল রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা। প্রয়োজনের তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম, যার পেছনে রয়েছে নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ প্রেক্ষিতে এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে সকল অংশীজনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার বাধাগ্রস্ত করতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী গত দুই মাস ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব কার্যক্রম অচল করে রেখেছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সরকার সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী হিসেবে দেখছে।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, অর্থবছরের শেষের দুই মাসে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছে, যা পরিকল্পিত এবং দূরভিসন্ধিমূলক। সরকার আলোচনার মাধ্যমে দাবি সমাধানের আহ্বান জানিয়েও সাড়া পায়নি। এর পরিবর্তে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনমনীয় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর এনবিআর ভবন থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর এবং দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ফলে শুল্কায়নসহ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

সরকার পুনরায় সকলকে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থে এনবিআর সংস্কার বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার কথা জানিয়েছে।