ইসরায়েলকে পাল্টা জবাব না দিলে পুরো অঞ্চল যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারত: ইরানের প্রেসিডেন্ট

- আপডেট সময় ১২:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / 6
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব না দিলে পুরো অঞ্চল ‘ব্যাপক ও নিয়ন্ত্রণহীন’ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারত। শুক্রবার (২৮ জুন) ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ফোরামে এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান জানান, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় বৈধ আত্মরক্ষা করেছে। তিনি বলেন, এটি ছিল ১২ দিনব্যাপী ইসরায়েলি হামলার যথাযথ জবাব।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান উল্লেখ করেন, ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে পূর্ণমাত্রার সামরিক আক্রমণ চালায়। হামলায় সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়, যাতে বহু শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও এই হামলায় যুক্ত হয় এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর জবাবে ইরান ২৩ জুন কাতারে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের ২২ ধাপে চালানো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে এবং ২৪ জুন একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
পেজেশকিয়ান জানান, ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর বর্বর আগ্রাসন এমন সময় ঘটে যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলছিল। তিনি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পর্যবেক্ষণে থাকা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এই ধরনের সশস্ত্র হামলা আন্তর্জাতিক সব নীতি ও চুক্তির চরম লঙ্ঘন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একজন স্থায়ী সদস্যের মাধ্যমে এই আগ্রাসন এনপিটির ওপর একটি অপূরণীয় আঘাত।’’
পেজেশকিয়ান আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় আবাসিক এলাকা, সরকারি স্থাপনা, হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।
সূত্র: প্রেস টিভি