ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ, পুতিনের যুক্তভুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা বহাল এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ডলারের মানহানি মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের বাফুফে ট্রায়ালে প্রবাসী ঝড়: হামজা-শমিতের পর এবার আসলেন আরো ৪৩ ফুটবলার সর্দি কাশি দূর করার ১১টি ঘরোয়া উপায় ভবিষ্যতে বিদেশে গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বিদেশে এস আলম গ্রুপ মালিকের সম্পদ জব্দের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও বিনিয়োগ অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন), দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নিম্নলিখিত সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন: সাইপ্রাসের লিমাসল জেলায় একটি দুইতলা বাড়ি

ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে: হ্যাজেক ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডে ৩,৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, পিকক প্রপার্টি হোল্ডিংসসহ আরও ১৮টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ, জার্সি ট্রাস্ট কোম্পানির অধীনে ৬টি ট্রাস্টে থাকা বিভিন্ন অঙ্কের বিনিয়োগ।

এইসব বিনিয়োগ ও সম্পদ বর্তমানে জব্দের আওতায় থাকবে এবং সেগুলোতে কোনো রকম লেনদেন বা পরিবর্তন করা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবীরা আদালতে জানান, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও তার স্ত্রী অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে বিভিন্ন দেশে এই সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা থেকে স্পষ্ট যে এই বিনিয়োগগুলো বৈধ উৎস থেকে আসেনি।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বিদেশে থাকা এই সম্পদ যাতে অপচয় বা স্থানান্তর না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই আদেশ চাওয়া হয়েছে।

এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশে অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক, পণ্য আমদানি-রপ্তানি, বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি, অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে।

এই আদেশকে দেশের দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এতে স্পষ্ট হচ্ছে যে, বিদেশে পাচার করা অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধেও এখন আইনি পদক্ষেপ আরও সক্রিয় ও কার্যকর হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশে এস আলম গ্রুপ মালিকের সম্পদ জব্দের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৮:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও বিনিয়োগ অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন), দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নিম্নলিখিত সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন: সাইপ্রাসের লিমাসল জেলায় একটি দুইতলা বাড়ি

ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে: হ্যাজেক ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডে ৩,৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, পিকক প্রপার্টি হোল্ডিংসসহ আরও ১৮টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ, জার্সি ট্রাস্ট কোম্পানির অধীনে ৬টি ট্রাস্টে থাকা বিভিন্ন অঙ্কের বিনিয়োগ।

এইসব বিনিয়োগ ও সম্পদ বর্তমানে জব্দের আওতায় থাকবে এবং সেগুলোতে কোনো রকম লেনদেন বা পরিবর্তন করা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবীরা আদালতে জানান, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও তার স্ত্রী অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে বিভিন্ন দেশে এই সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা থেকে স্পষ্ট যে এই বিনিয়োগগুলো বৈধ উৎস থেকে আসেনি।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বিদেশে থাকা এই সম্পদ যাতে অপচয় বা স্থানান্তর না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই আদেশ চাওয়া হয়েছে।

এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশে অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক, পণ্য আমদানি-রপ্তানি, বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি, অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে।

এই আদেশকে দেশের দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এতে স্পষ্ট হচ্ছে যে, বিদেশে পাচার করা অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধেও এখন আইনি পদক্ষেপ আরও সক্রিয় ও কার্যকর হচ্ছে।