ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তার্কিশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে ভ্রমণ সুবিধায় সমঝোতা স্মারক সাক্ষর ঝিনাইগাতীতে বাস পুকুরে উল্টে তিন মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত অন্তত ২০ চালু হবে জাতীয় পুরস্কার,মাইলস্টোন শিক্ষক মেহরিন চৌধুরীর নামে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ড. ইউনূস দ্রুত চালু হবে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: বেবিচক চেয়ারম্যানের আশ্বাস হিরো আলমকে তালাক দিলেন রিয়া মনি নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন, তিন ক্রিকেটার ছিটকে

গাজায় আরও রক্তস্নান: একদিনেই ১৪৪ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ১৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) একদিনেই এ প্রাণহানি ঘটে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে জড়ো হয়েছিলেন।

ভোররাতে গাজা সিটির নেতজারিম করিডোরে সালাহউদ্দিন সড়কে সহায়তা সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহতদের অনেকেই খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একই দিনে গাজাজুড়ে চালানো বিমান ও স্থল হামলায় আল-মাওয়াসি, জেইতুন ও মাজাজি শরণার্থী ক্যাম্পে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হন। আল-মাওয়াসিতে শরণার্থী তাঁবুতে চালানো হামলায় পুরো একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলো চরম জ্বালানি সংকটে রয়েছে। মাত্র তিন দিনের মতো জ্বালানি মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।

গাজায় সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি বাড়ছেই। হামাসের দাবি, এই বিতরণ প্রক্রিয়া আসলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক পরিকল্পনার অংশ। তাদের অভিযোগ, ‘রেড জোন’ দেখিয়ে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারে।

এদিকে জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজার বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অপরদিকে ইসরাইল প্রতিদিনকার এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডকে ‘নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত করা’র নামে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে।

বেসামরিক মানুষের ওপর একের পর এক হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়লেও, কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে, যা সামনে আরও বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় আরও রক্তস্নান: একদিনেই ১৪৪ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি

আপডেট সময় ১০:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ১৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) একদিনেই এ প্রাণহানি ঘটে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে জড়ো হয়েছিলেন।

ভোররাতে গাজা সিটির নেতজারিম করিডোরে সালাহউদ্দিন সড়কে সহায়তা সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহতদের অনেকেই খাদ্য সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একই দিনে গাজাজুড়ে চালানো বিমান ও স্থল হামলায় আল-মাওয়াসি, জেইতুন ও মাজাজি শরণার্থী ক্যাম্পে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হন। আল-মাওয়াসিতে শরণার্থী তাঁবুতে চালানো হামলায় পুরো একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলো চরম জ্বালানি সংকটে রয়েছে। মাত্র তিন দিনের মতো জ্বালানি মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।

গাজায় সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি বাড়ছেই। হামাসের দাবি, এই বিতরণ প্রক্রিয়া আসলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক পরিকল্পনার অংশ। তাদের অভিযোগ, ‘রেড জোন’ দেখিয়ে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারে।

এদিকে জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজার বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অপরদিকে ইসরাইল প্রতিদিনকার এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডকে ‘নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত করা’র নামে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে।

বেসামরিক মানুষের ওপর একের পর এক হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়লেও, কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে, যা সামনে আরও বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে।