ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তার্কিশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে ভ্রমণ সুবিধায় সমঝোতা স্মারক সাক্ষর ঝিনাইগাতীতে বাস পুকুরে উল্টে তিন মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত অন্তত ২০ চালু হবে জাতীয় পুরস্কার,মাইলস্টোন শিক্ষক মেহরিন চৌধুরীর নামে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ড. ইউনূস দ্রুত চালু হবে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: বেবিচক চেয়ারম্যানের আশ্বাস হিরো আলমকে তালাক দিলেন রিয়া মনি নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন, তিন ক্রিকেটার ছিটকে

ইরান-ইসরায়েল সংকট: সমাধানে চাপ নয়, কূটনীতির পক্ষে রাশিয়া: পুতিন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া কোনো পক্ষের ওপর সমাধান চাপিয়ে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমরা কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। শুধু বলছি, কীভাবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যেতে পারে। সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর—বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের।”

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন স্পষ্ট করে বলেন, “আমাদের ইরানি বন্ধুরা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো সামরিক সহায়তা চায়নি।”

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, পুতিন আরও জানান, রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করছেন এবং ইসরায়েল এখনও পর্যন্ত ওই স্থাপনায় কোনো হামলা চালায়নি। পুতিন বলেন, “ইসরায়েল আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে রাশিয়া বুশেহর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ২০১১ সালে তা চালু হয়। ইতোমধ্যে ইরানের সঙ্গে একটি ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় আরও তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।

পুতিন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সদ্য নির্বাচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তার মতে, ইরানি জনগণ এখন তাদের নতুন নেতৃত্বের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং সংকট নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের পথই সবচেয়ে যৌক্তিক।

বিশ্ব রাজনীতির এমন এক সংকটময় মুহূর্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে চাপের পরিবর্তে সংলাপ ও কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ আন্তর্জাতিক পরিসরে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান-ইসরায়েল সংকট: সমাধানে চাপ নয়, কূটনীতির পক্ষে রাশিয়া: পুতিন

আপডেট সময় ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া কোনো পক্ষের ওপর সমাধান চাপিয়ে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমরা কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। শুধু বলছি, কীভাবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যেতে পারে। সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর—বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের।”

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন স্পষ্ট করে বলেন, “আমাদের ইরানি বন্ধুরা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো সামরিক সহায়তা চায়নি।”

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, পুতিন আরও জানান, রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করছেন এবং ইসরায়েল এখনও পর্যন্ত ওই স্থাপনায় কোনো হামলা চালায়নি। পুতিন বলেন, “ইসরায়েল আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে রাশিয়া বুশেহর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ২০১১ সালে তা চালু হয়। ইতোমধ্যে ইরানের সঙ্গে একটি ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় আরও তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।

পুতিন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সদ্য নির্বাচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তার মতে, ইরানি জনগণ এখন তাদের নতুন নেতৃত্বের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং সংকট নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের পথই সবচেয়ে যৌক্তিক।

বিশ্ব রাজনীতির এমন এক সংকটময় মুহূর্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে চাপের পরিবর্তে সংলাপ ও কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ আন্তর্জাতিক পরিসরে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।