ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ জন নেতাকর্মী বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।

সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি, ফলে আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের হরতালের সময় রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন এলাকায় একটি লেগুনা গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে পাঁচজন দগ্ধ হন এবং গাড়িটি পুড়ে যায়। ওই ঘটনায় বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

তবে মামলার বিচার চলাকালে আসামি সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যু হওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা ছিল। আমি শুরু থেকেই নির্দোষ ছিলাম। আজ আদালত সত্যের পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে এখনো অনেক বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত ছিল, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হয়রানি বন্ধ হয়।”

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই রায় প্রমাণ করে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন করতে রাজনৈতিক মামলার আশ্রয় নিয়েছে। তারা এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

আদালতের এ রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা দীর্ঘদিন ধরে মামলার চাপ ও আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এই রায়ের মাধ্যমে তারা আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হলেও, রাজনৈতিকভাবে তাদের ক্ষতির কোনো ক্ষতিপূরণ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।

এ রায় বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং একে ন্যায়বিচারের জয় বলে অভিহিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস

আপডেট সময় ০২:৫০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ জন নেতাকর্মী বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।

সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি, ফলে আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের হরতালের সময় রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন এলাকায় একটি লেগুনা গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে পাঁচজন দগ্ধ হন এবং গাড়িটি পুড়ে যায়। ওই ঘটনায় বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

তবে মামলার বিচার চলাকালে আসামি সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যু হওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা ছিল। আমি শুরু থেকেই নির্দোষ ছিলাম। আজ আদালত সত্যের পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে এখনো অনেক বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত ছিল, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হয়রানি বন্ধ হয়।”

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই রায় প্রমাণ করে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন করতে রাজনৈতিক মামলার আশ্রয় নিয়েছে। তারা এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

আদালতের এ রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা দীর্ঘদিন ধরে মামলার চাপ ও আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এই রায়ের মাধ্যমে তারা আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হলেও, রাজনৈতিকভাবে তাদের ক্ষতির কোনো ক্ষতিপূরণ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।

এ রায় বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং একে ন্যায়বিচারের জয় বলে অভিহিত করা হয়েছে।