যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন

- আপডেট সময় ০২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
- / 0
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি অভ্যন্তরীণ বার্তা থেকে এ তথ্য পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত একটি ঘোষণাপত্রে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী ও অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন শুরুর পর থেকেই অভিবাসন বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে এসব নীতিমালা বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পালন করছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে এল সালভাদর থেকে শত শত ভেনেজুয়েলান নাগরিককে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে, যাদের গ্যাং সদস্য হিসেবে সন্দেহ করা হয়। এমনকি কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল এবং কিছুজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর স্বাক্ষরিত এক কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৩৬টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে— ৬০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত মান ও শর্ত পূরণ না করলে তাদের নাগরিকদের ওপর আংশিক বা পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, কিছু দেশের সরকার যথাযথ পরিচয়পত্র দিতে ব্যর্থ কিংবা সহযোগিতাহীন, আবার অনেক দেশের পাসপোর্ট নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বহিষ্কৃতদের ফিরিয়ে নিতে কিছু দেশ অস্বীকৃতি জানায়, এমনকি অনেকেই ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও যুক্তরাষ্ট্রেই থেকে যায়।
উদ্বেগের কারণ হিসেবে আরও বলা হয়, কিছু দেশের নাগরিক সন্ত্রাসবাদে জড়িত, কেউ কেউ ইহুদি ও আমেরিকাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত। যদিও সব দেশ একই পর্যায়ের ঝুঁকি বহন করছে না, বার্তায় তা স্পষ্ট করা হয়।
যেসব দেশ এই নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ঘানা, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ আফ্রিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক রাষ্ট্র। এর বাইরে কিছু দেশের নাগরিকদের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, যা পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত হয়।