ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

ঈদের ছুটিতেও সচল মোংলা বন্দর, ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটির মধ্যেও মোংলা বন্দরে কার্যক্রমে কোনো ধরনের স্থবিরতা দেখা যায়নি। বরং এই ছুটির মধ্যেই বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। নিরবচ্ছিন্নভাবে চলেছে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও পণ্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম।

বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, দীর্ঘ ছুটির মধ্যেও বন্দর সচল রাখতে নেয়া হয়েছিল বিশেষ উদ্যোগ। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোস্টার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশেষ করে হারবার, যান্ত্রিক-তড়িৎ এবং ট্রাফিক বিভাগ ছিল ২৪ ঘণ্টা খোলা। বহিঃনোঙর, জেটি ও পণ্য হ্যান্ডলিং এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু ছিল কার্যক্রম।

এই সময়ের মধ্যে বন্দরে ৩৫টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করে এবং ১ হাজার ৬০০ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, “মোংলা বন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা এখন চট্টগ্রাম বা অন্যান্য বন্দর বাদ দিয়ে মোংলাকে বেছে নিচ্ছেন, যার ফলে জাহাজ এবং পণ্যের চাপও ক্রমশ বাড়ছে। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই আমরা ঈদের ছুটির মধ্যেও বন্দর সচল রেখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই ছুটির মধ্যেও বিপুল পরিমাণ পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ফলে এটি দেশের বাণিজ্যিক গতি ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা আশাবাদী।”

বন্দরের নিয়মিত কার্যক্রম চালু থাকায়, ঈদের সময় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর হিসেবে মোংলার সক্ষমতা আরও বাড়াতে ইতোমধ্যে আধুনিকীকরণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে ঈদের মতো দীর্ঘ ছুটিতেও একটি আন্তর্জাতিক বন্দর সচল রাখা দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আস্থাও বৃদ্ধি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদের ছুটিতেও সচল মোংলা বন্দর, ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি

আপডেট সময় ১১:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটির মধ্যেও মোংলা বন্দরে কার্যক্রমে কোনো ধরনের স্থবিরতা দেখা যায়নি। বরং এই ছুটির মধ্যেই বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। নিরবচ্ছিন্নভাবে চলেছে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও পণ্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম।

বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, দীর্ঘ ছুটির মধ্যেও বন্দর সচল রাখতে নেয়া হয়েছিল বিশেষ উদ্যোগ। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোস্টার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশেষ করে হারবার, যান্ত্রিক-তড়িৎ এবং ট্রাফিক বিভাগ ছিল ২৪ ঘণ্টা খোলা। বহিঃনোঙর, জেটি ও পণ্য হ্যান্ডলিং এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু ছিল কার্যক্রম।

এই সময়ের মধ্যে বন্দরে ৩৫টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করে এবং ১ হাজার ৬০০ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, “মোংলা বন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা এখন চট্টগ্রাম বা অন্যান্য বন্দর বাদ দিয়ে মোংলাকে বেছে নিচ্ছেন, যার ফলে জাহাজ এবং পণ্যের চাপও ক্রমশ বাড়ছে। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই আমরা ঈদের ছুটির মধ্যেও বন্দর সচল রেখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই ছুটির মধ্যেও বিপুল পরিমাণ পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ফলে এটি দেশের বাণিজ্যিক গতি ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা আশাবাদী।”

বন্দরের নিয়মিত কার্যক্রম চালু থাকায়, ঈদের সময় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর হিসেবে মোংলার সক্ষমতা আরও বাড়াতে ইতোমধ্যে আধুনিকীকরণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে ঈদের মতো দীর্ঘ ছুটিতেও একটি আন্তর্জাতিক বন্দর সচল রাখা দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আস্থাও বৃদ্ধি করবে।