ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আত্মরক্ষার ছদ্মবেশে আগ্রাসন: জাতিসংঘ সনদের ধারা ৫১, সভ্যতার সংঘর্ষ ও মুসলিম বিশ্বের উপর ভূরাজনৈতিক আগ্রাসন। উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব এলাকা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ গাজীপুরে ৮ ইউনিটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যৌতুক হিসেবে ইজিবাইক না পেয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী আটক ইসরায়েলের হামলা চললে পারমাণবিক আলোচনা নয়: ইরানের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনায় ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না ইরানি ফরোয়ার্ড রাজনৈতিক কোরবানি হয়নি, তাই এবার বড় গরুর বিক্রি কম: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা চাহিদা বাড়লেও এবার গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র লোডশেডিং হয়নি: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সড়ক উপদেষ্টা

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১,৪৫২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১,০৫৩ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং বাকি ৩৯৯ জন অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।

শনিবার (১৪ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি), মিডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখার ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গত একদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশই পূর্বে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক ছিলেন।

অভিযানের সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ১ রাউন্ড গুলি ও ১টি বার্মিজ চাকু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অস্ত্র উদ্ধারসহ এসব অভিযানের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।

এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, “দেশজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের এই বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে। অপরাধ দমন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।”

পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযান মূলত অপরাধ প্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়াতে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গতি আনতেই পরিচালিত হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চলমান এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন মহল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু গ্রেপ্তারের মাধ্যমেই নয়, অপরাধের মূল উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, যেসব এলাকা অপরাধপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশের এই উদ্যোগে নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিয়মিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন

আপডেট সময় ০৪:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১,৪৫২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১,০৫৩ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং বাকি ৩৯৯ জন অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।

শনিবার (১৪ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি), মিডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখার ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গত একদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশই পূর্বে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক ছিলেন।

অভিযানের সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ১ রাউন্ড গুলি ও ১টি বার্মিজ চাকু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অস্ত্র উদ্ধারসহ এসব অভিযানের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।

এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, “দেশজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের এই বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে। অপরাধ দমন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।”

পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযান মূলত অপরাধ প্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়াতে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গতি আনতেই পরিচালিত হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চলমান এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন মহল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু গ্রেপ্তারের মাধ্যমেই নয়, অপরাধের মূল উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, যেসব এলাকা অপরাধপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশের এই উদ্যোগে নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিয়মিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।