ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ইসরায়েলি হামলা: আরব দেশগুলোর তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের ঝড় উত্ত্যক্তকারীদের রুখতে পরিবার ও সমাজকে হতে হবে সক্রিয় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের স্বর্ণ-রুপার আজকের বাজারদর: বাজুসের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত, ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলি হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান, জরুরি অবস্থা জারি ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের

বন্যার জলে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, বিপাকে কুড়িগ্রামের চরবাসীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে কুড়িগ্রামে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। হঠাৎ করে পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে বহু ফসলি জমি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। ইতোমধ্যে বাদাম, পাট, পটল, তিল, কাউনসহ মৌসুমি সবজির জমি পানিতে ডুবে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

চরের কৃষকদের এখন দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। বৃষ্টির পানি ও ঢলে জমির ফসল তলিয়ে গেছে। হাতে কোনো বিকল্প নেই, চোখে-মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ফসল রক্ষায় কিছুই করতে পারেননি তারা।

একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, “পাহাড়ি ঢল আসার আগেই জমিতে বাদাম আর পটল চাষ করেছিলাম। ভালো ফলনের আশা ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সব শেষ।” আরেক কৃষক বলেন, “টানা বৃষ্টি আর নদীর পানি বাড়ায় পুরো জমি এখন পানির নিচে। কীভাবে চলবো, ভেবে পাচ্ছি না।”

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ বা جزিভাবে নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, “পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হবে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি।”

জেলার কৃষকরা দ্রুত সহায়তা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে আগামী মৌসুমে চাষাবাদে ফিরে যেতে পারেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, নিয়মিত নদী শাসন এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্যার জলে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, বিপাকে কুড়িগ্রামের চরবাসীরা

আপডেট সময় ১০:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে কুড়িগ্রামে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। হঠাৎ করে পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে বহু ফসলি জমি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। ইতোমধ্যে বাদাম, পাট, পটল, তিল, কাউনসহ মৌসুমি সবজির জমি পানিতে ডুবে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

চরের কৃষকদের এখন দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। বৃষ্টির পানি ও ঢলে জমির ফসল তলিয়ে গেছে। হাতে কোনো বিকল্প নেই, চোখে-মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ফসল রক্ষায় কিছুই করতে পারেননি তারা।

একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, “পাহাড়ি ঢল আসার আগেই জমিতে বাদাম আর পটল চাষ করেছিলাম। ভালো ফলনের আশা ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সব শেষ।” আরেক কৃষক বলেন, “টানা বৃষ্টি আর নদীর পানি বাড়ায় পুরো জমি এখন পানির নিচে। কীভাবে চলবো, ভেবে পাচ্ছি না।”

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ বা جزিভাবে নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, “পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হবে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি।”

জেলার কৃষকরা দ্রুত সহায়তা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে আগামী মৌসুমে চাষাবাদে ফিরে যেতে পারেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, নিয়মিত নদী শাসন এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।