ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার সহজ ও ঘরোয়া উপায় ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৬ জন হত্যা ও খুন মামলাসহ পুরনো মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল বিদেশফেরত রংমিস্ত্রি থেকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা: আফজাল শেখের রাম্বুটান বিপ্লব কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগে পুলিশের ভেরিফিকেশন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা দুর্নীতিবাজ, দখলদার ও চাঁদাবাজদের না বলুন, যারা ওদের পক্ষে তাঁদের বয়কট করুন: নাহিদ ইসলাম রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট বাগেরহাটে ডাকাতিকৃত মালামাল সহ ৭ ডাকাত আটক বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঠানপাড়া ও উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপাড়ার দুই কিশোর পাঠানপাড়ার ‘এরাবিয়ান হেবসা অ্যান্ড ফুচকা হাউস’-এ ফুচকা খেতে গেলে টিস্যু পেপার চাওয়া নিয়ে দোকানের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ায়। একপর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়। ঘটনাটি মুহূর্তেই দুই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

রাত আটটার দিকে মসজিদের মাইকে লোকজনকে সংঘর্ষে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়। এরপর দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই পক্ষ মহাসড়কে মুখোমুখি হয়। সংঘর্ষে আশপাশের গ্রাম থেকেও লোকজন যোগ দেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে সাধারণ যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে।

এসময় উত্তেজিত লোকজন উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরাবিয়ান হেবসা অ্যান্ড ফুচকা হাউসের মালিক মুজিবুর পাঠান বলেন, “আমার দোকানে অন্তত চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।” একইভাবে ‘স্বপ্নপূরী ফুচকা হাউস’-এর মালিক শামীম পাঠান জানান, “আমার দোকান থেকেও এক লাখ টাকা লুট এবং কয়েক লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে।”

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসাইন ঘটনাটিকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করে এলাকাবাসীকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এলাকায় টহল জোরদার করেছে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট সময় ০৬:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঠানপাড়া ও উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপাড়ার দুই কিশোর পাঠানপাড়ার ‘এরাবিয়ান হেবসা অ্যান্ড ফুচকা হাউস’-এ ফুচকা খেতে গেলে টিস্যু পেপার চাওয়া নিয়ে দোকানের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ায়। একপর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়। ঘটনাটি মুহূর্তেই দুই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

রাত আটটার দিকে মসজিদের মাইকে লোকজনকে সংঘর্ষে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়। এরপর দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই পক্ষ মহাসড়কে মুখোমুখি হয়। সংঘর্ষে আশপাশের গ্রাম থেকেও লোকজন যোগ দেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে সাধারণ যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে।

এসময় উত্তেজিত লোকজন উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরাবিয়ান হেবসা অ্যান্ড ফুচকা হাউসের মালিক মুজিবুর পাঠান বলেন, “আমার দোকানে অন্তত চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।” একইভাবে ‘স্বপ্নপূরী ফুচকা হাউস’-এর মালিক শামীম পাঠান জানান, “আমার দোকান থেকেও এক লাখ টাকা লুট এবং কয়েক লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে।”

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসাইন ঘটনাটিকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করে এলাকাবাসীকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এলাকায় টহল জোরদার করেছে।