০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলো পুলিশ জুলাই সনদে সাইন করে ভুল করেছেন, এখন কাফফারা দিন: বিএনপিকে নাসীরুদ্দীন ব্রাজিলে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত কমপক্ষে ৬০ জন বিপিএলে দলের নাম ঠিক করে দেবে বিসিবি, করা যাবে না পরিবর্তন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ১৮ কেউ এককভাবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাণিজ্য উত্তেজনা নিরসনে লন্ডনে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন নতুন আলোচনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। এবার এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।

সোমবার লন্ডনের ঐতিহাসিক ল্যাঞ্চেস্টার হাউজে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। অপরদিকে, চীনের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এটি ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগ, রপ্তানি এবং উৎপাদনে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যার ফলে গোটা বিশ্বের নজর এখন লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের দিকেই।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার চিপসহ উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যে চীনের প্রবেশাধিকার। চীন বিশ্বে বিরল খনিজ রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদনে অপরিহার্য উপাদান। এই খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত মাসে দুই দেশ সাময়িকভাবে বাণিজ্যশুল্ক স্থগিত করতে সম্মত হয়। তবে এর পরপরই উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। এমন অবস্থায়, দুই দেশের মধ্যে নতুন আলোচনার এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

লন্ডনের এই বৈঠকের আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি টেলিফোন আলাপ হয়। দুই নেতা তাদের নিজ নিজ দেশে সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং আলোচনাকে ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ হিসেবে অভিহিত করেন। ট্রাম্প এই আলাপকে “খুবই ভাল আলোচনা” বলে বর্ণনা করেন।

এর আগেও, চলতি বছরের মে মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও চীনের খনিজ সম্পদ ও চুম্বক রপ্তানির ইস্যুতে কোনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সে কারণে লন্ডনের এই বৈঠকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী বাজার স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই আলোচনায় একটি কার্যকর সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাণিজ্য উত্তেজনা নিরসনে লন্ডনে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন নতুন আলোচনা

আপডেট সময় ১১:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

 

বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। এবার এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।

সোমবার লন্ডনের ঐতিহাসিক ল্যাঞ্চেস্টার হাউজে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। অপরদিকে, চীনের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এটি ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগ, রপ্তানি এবং উৎপাদনে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যার ফলে গোটা বিশ্বের নজর এখন লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের দিকেই।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার চিপসহ উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যে চীনের প্রবেশাধিকার। চীন বিশ্বে বিরল খনিজ রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদনে অপরিহার্য উপাদান। এই খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত মাসে দুই দেশ সাময়িকভাবে বাণিজ্যশুল্ক স্থগিত করতে সম্মত হয়। তবে এর পরপরই উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। এমন অবস্থায়, দুই দেশের মধ্যে নতুন আলোচনার এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

লন্ডনের এই বৈঠকের আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি টেলিফোন আলাপ হয়। দুই নেতা তাদের নিজ নিজ দেশে সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং আলোচনাকে ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ হিসেবে অভিহিত করেন। ট্রাম্প এই আলাপকে “খুবই ভাল আলোচনা” বলে বর্ণনা করেন।

এর আগেও, চলতি বছরের মে মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও চীনের খনিজ সম্পদ ও চুম্বক রপ্তানির ইস্যুতে কোনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সে কারণে লন্ডনের এই বৈঠকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী বাজার স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই আলোচনায় একটি কার্যকর সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।