০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

নগদের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

 

মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সময় সরকারি বিপুল অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা রিপোর্ট ও ই-মানি জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার (ট্রেজারি বিভাগ) ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি অর্থের জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে চুক্তিভিত্তিক সেবার সুযোগ নিয়ে আসামিরা মিথ্যা আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের রাজস্ব ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়াও চলমান বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এই মামলা দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতে নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নগদের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

আপডেট সময় ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

 

মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সময় সরকারি বিপুল অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা রিপোর্ট ও ই-মানি জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার (ট্রেজারি বিভাগ) ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি অর্থের জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে চুক্তিভিত্তিক সেবার সুযোগ নিয়ে আসামিরা মিথ্যা আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের রাজস্ব ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়াও চলমান বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এই মামলা দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতে নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।