০২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

নগদের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

 

মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সময় সরকারি বিপুল অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা রিপোর্ট ও ই-মানি জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার (ট্রেজারি বিভাগ) ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি অর্থের জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে চুক্তিভিত্তিক সেবার সুযোগ নিয়ে আসামিরা মিথ্যা আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের রাজস্ব ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়াও চলমান বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এই মামলা দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতে নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নগদের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

আপডেট সময় ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

 

মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সময় সরকারি বিপুল অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা রিপোর্ট ও ই-মানি জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার (ট্রেজারি বিভাগ) ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি অর্থের জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে চুক্তিভিত্তিক সেবার সুযোগ নিয়ে আসামিরা মিথ্যা আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের রাজস্ব ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়াও চলমান বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এই মামলা দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতে নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।