ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

নগদের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

 

মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সময় সরকারি বিপুল অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা রিপোর্ট ও ই-মানি জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার (ট্রেজারি বিভাগ) ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি অর্থের জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে চুক্তিভিত্তিক সেবার সুযোগ নিয়ে আসামিরা মিথ্যা আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের রাজস্ব ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়াও চলমান বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এই মামলা দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতে নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নগদের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

আপডেট সময় ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

 

মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সময় সরকারি বিপুল অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা রিপোর্ট ও ই-মানি জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার (ট্রেজারি বিভাগ) ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি অর্থের জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে চুক্তিভিত্তিক সেবার সুযোগ নিয়ে আসামিরা মিথ্যা আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে সরকারের রাজস্ব ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়াও চলমান বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এই মামলা দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল খাতে নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।