০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লি জে-মিয়ং

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 64

ছবি সংগৃহীত

 

 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এক বিবৃতিতে কিম বলেন, “আমি জনগণের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। বিজয়ের জন্য লি জে-মিয়ং-কে অভিনন্দন জানাই।”

জয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে লি জে-মিয়ং দেশ পুনর্গঠনের অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করব এবং উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করব।”

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার প্রচার অনেকটাই একটি গণভোটের রূপ নেয়, যেখানে জনগণ সরাসরি মত দেয় সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।

ছয় মাস আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়লের সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। এবার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ইউনের দলকে প্রত্যাখ্যান করে আবার বিরোধী দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে।

লি জে-মিয়ং অতীতে ছিলেন বিতর্কিত এক রাজনৈতিক চরিত্র। তিন বছর আগে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগও রয়েছে। তবে চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে বহু নাগরিককে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই সঙ্কটে নেতৃত্ব দিতে লি জে-মিয়ংই সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে, দেশ পুনর্গঠনের আগে তার সামনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা চুক্তি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে ভাবনায় ফেলছে কূটনৈতিক মহলকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা কিছু সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে।

লি জে-মিয়ং অতীতে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। যদিও নির্বাচনী প্রচারে তিনি কিছুটা সংযত ছিলেন, তবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার এই অবস্থান ওয়াশিংটন-সিউল সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লি জে-মিয়ং

আপডেট সময় ১০:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এক বিবৃতিতে কিম বলেন, “আমি জনগণের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। বিজয়ের জন্য লি জে-মিয়ং-কে অভিনন্দন জানাই।”

জয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে লি জে-মিয়ং দেশ পুনর্গঠনের অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করব এবং উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করব।”

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার প্রচার অনেকটাই একটি গণভোটের রূপ নেয়, যেখানে জনগণ সরাসরি মত দেয় সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।

ছয় মাস আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়লের সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। এবার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ইউনের দলকে প্রত্যাখ্যান করে আবার বিরোধী দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে।

লি জে-মিয়ং অতীতে ছিলেন বিতর্কিত এক রাজনৈতিক চরিত্র। তিন বছর আগে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগও রয়েছে। তবে চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে বহু নাগরিককে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই সঙ্কটে নেতৃত্ব দিতে লি জে-মিয়ংই সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে, দেশ পুনর্গঠনের আগে তার সামনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা চুক্তি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে ভাবনায় ফেলছে কূটনৈতিক মহলকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা কিছু সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে।

লি জে-মিয়ং অতীতে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। যদিও নির্বাচনী প্রচারে তিনি কিছুটা সংযত ছিলেন, তবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার এই অবস্থান ওয়াশিংটন-সিউল সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।