ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে চাপ, নেই কোন ভোগান্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে শেকড়ের টানে রাজধানী ছাড়ছেন হাজারো মানুষ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বাড়ির পথ ধরেছেন তারা। ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই আগেভাগেই ছুটছেন নিজ গন্তব্যে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীচাপ লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর ৪টা থেকেই শুরু হয় ট্রেন চলাচল। দিনের সূচনায় একে একে ছেড়ে যায় বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন।

কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ট্রেন রাজধানী ছেড়ে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশে। এর মধ্যে কিছুটা বিলম্বে ছেড়ে যায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস। তবে বাকি ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে যাত্রা শুরু করে। ট্রেনগুলোতে উপচে পড়া যাত্রী দেখা গেলেও অনেকে স্বস্তির সাথেই যাত্রা করতে পেরেছেন।

নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি। স্টেশনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, টিকিটবিহীন কাউকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে ভলান্টিয়ার টিম ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে নিরলসভাবে।

এদিকে অনেক যাত্রীই জানিয়েছেন, এবারের ঈদযাত্রায় আগের চেয়ে কম ভোগান্তি হয়েছে। ট্রেন যথাসময়ে ছাড়ায় সন্তুষ্ট তারা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আগত যাত্রী সুমন মিয়া জানান, “অনেক আগেই টিকিট কেটে রেখেছিলাম। আজকের যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। ভিড় আছে, কিন্তু ব্যবস্থা ভালো।”

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রেন চলাচলে বিশেষ নজরদারি থাকবে। যাত্রীসাধারণ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই চেষ্টা চলছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে পৌঁছাতে এমন চিত্র দেশের প্রতিটি রেলস্টেশনেই দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রেন যেন হয়ে উঠেছে ঘরে ফেরার এক একটি আনন্দযাত্রার বাহন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে চাপ, নেই কোন ভোগান্তি

আপডেট সময় ১০:৫৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে শেকড়ের টানে রাজধানী ছাড়ছেন হাজারো মানুষ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বাড়ির পথ ধরেছেন তারা। ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই আগেভাগেই ছুটছেন নিজ গন্তব্যে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীচাপ লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর ৪টা থেকেই শুরু হয় ট্রেন চলাচল। দিনের সূচনায় একে একে ছেড়ে যায় বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন।

কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ট্রেন রাজধানী ছেড়ে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশে। এর মধ্যে কিছুটা বিলম্বে ছেড়ে যায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস। তবে বাকি ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে যাত্রা শুরু করে। ট্রেনগুলোতে উপচে পড়া যাত্রী দেখা গেলেও অনেকে স্বস্তির সাথেই যাত্রা করতে পেরেছেন।

নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি। স্টেশনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, টিকিটবিহীন কাউকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে ভলান্টিয়ার টিম ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে নিরলসভাবে।

এদিকে অনেক যাত্রীই জানিয়েছেন, এবারের ঈদযাত্রায় আগের চেয়ে কম ভোগান্তি হয়েছে। ট্রেন যথাসময়ে ছাড়ায় সন্তুষ্ট তারা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আগত যাত্রী সুমন মিয়া জানান, “অনেক আগেই টিকিট কেটে রেখেছিলাম। আজকের যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। ভিড় আছে, কিন্তু ব্যবস্থা ভালো।”

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রেন চলাচলে বিশেষ নজরদারি থাকবে। যাত্রীসাধারণ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই চেষ্টা চলছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে পৌঁছাতে এমন চিত্র দেশের প্রতিটি রেলস্টেশনেই দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রেন যেন হয়ে উঠেছে ঘরে ফেরার এক একটি আনন্দযাত্রার বাহন।