০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের

খেলাধুলা হতে পারে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

 

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভির আয়োজনে রবিবার লাহোরের গভর্নর হাউসে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন সফররত বাংলাদেশ ও স্বাগতিক পাকিস্তান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি।

অনুষ্ঠানে দুই দলের খেলোয়াড়দের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি জারদারি। চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে উভয় দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ দল তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে পাকিস্তান সফরে এসেছে, এটা খুবই সম্মানের বিষয়।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “খেলাধুলা কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন। আমাদের তরুণ প্রজন্মের উচিত এই সম্পর্ককে আরো গভীর ও সুদৃঢ় করা।”

বিচ্ছিন্নতার অতীত স্মরণ করে আসিফ আলী জারদারি বলেন, “আমি সেই প্রজন্মের মানুষ, যারা একাত্তরের বিচ্ছেদের সাক্ষী। আজকের প্রজন্ম হয়তো সেই যন্ত্রণা অনুভব করতে পারবে না, তবে সম্পর্ক গড়ে তোলার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।”

বাংলাদেশ জাতির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ ও সংস্কৃতিমনস্ক জাতি হলো বাঙালিরা। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত একটি সফলতা।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশই প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে দুই দেশেরই জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।”

রাষ্ট্রপতি জারদারি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে, আর খেলাধুলা হতে পারে সেই যোগাযোগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রেই নয়, বরং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা হতে পারে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ০৪:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভির আয়োজনে রবিবার লাহোরের গভর্নর হাউসে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন সফররত বাংলাদেশ ও স্বাগতিক পাকিস্তান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি।

অনুষ্ঠানে দুই দলের খেলোয়াড়দের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি জারদারি। চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে উভয় দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ দল তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে পাকিস্তান সফরে এসেছে, এটা খুবই সম্মানের বিষয়।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “খেলাধুলা কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন। আমাদের তরুণ প্রজন্মের উচিত এই সম্পর্ককে আরো গভীর ও সুদৃঢ় করা।”

বিচ্ছিন্নতার অতীত স্মরণ করে আসিফ আলী জারদারি বলেন, “আমি সেই প্রজন্মের মানুষ, যারা একাত্তরের বিচ্ছেদের সাক্ষী। আজকের প্রজন্ম হয়তো সেই যন্ত্রণা অনুভব করতে পারবে না, তবে সম্পর্ক গড়ে তোলার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।”

বাংলাদেশ জাতির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ ও সংস্কৃতিমনস্ক জাতি হলো বাঙালিরা। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত একটি সফলতা।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশই প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে দুই দেশেরই জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।”

রাষ্ট্রপতি জারদারি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে, আর খেলাধুলা হতে পারে সেই যোগাযোগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রেই নয়, বরং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।