০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের আমীরে জামায়াতের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের আবেদন ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীকে নিষেধাজ্ঞা দিলো স্পেন তুরস্ক ও মিশরের সতর্কবার্তায় রক্ষা পেলেন কাতারে হামাস নেতারা

৬ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন, দ্বীপজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে টানা ছয় দিন ধরে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনগামী নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় দ্বীপজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিসংকট।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, গত ২৫ মে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপবাসী।

দ্বীপের দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও গলাচিপা এলাকাগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি চলছে। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার প্যানেল কাজ করছে না, আবার জ্বালানি না থাকায় জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ জানান, “বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। চাল, ডাল, তরকারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ খাওয়াও পাচ্ছে না, আলোও নেই।”

দ্বীপে কোনো স্থায়ী গুদাম না থাকায় প্রতিদিন টেকনাফ থেকে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনে চাহিদা পূরণ করতে হয়। ফলে নৌপথ বন্ধ থাকলে সংকট দ্রুত তীব্র হয়ে ওঠে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, “পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ রোববার একটি সার্ভিস বোট পাঠানো হয়েছে, যাতে এক হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা রয়েছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যেই এটি দ্বীপে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে এলেই পর্যায়ক্রমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন পুনরায় শুরু করা হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, স্থানীয়দের আশঙ্কা, আবহাওয়া আরও কয়েকদিন খারাপ থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা দ্রুত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা এবং সুশৃঙ্খল সরবরাহব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন, দ্বীপজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট

আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে টানা ছয় দিন ধরে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনগামী নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় দ্বীপজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিসংকট।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, গত ২৫ মে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপবাসী।

দ্বীপের দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও গলাচিপা এলাকাগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি চলছে। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার প্যানেল কাজ করছে না, আবার জ্বালানি না থাকায় জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ জানান, “বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। চাল, ডাল, তরকারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ খাওয়াও পাচ্ছে না, আলোও নেই।”

দ্বীপে কোনো স্থায়ী গুদাম না থাকায় প্রতিদিন টেকনাফ থেকে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনে চাহিদা পূরণ করতে হয়। ফলে নৌপথ বন্ধ থাকলে সংকট দ্রুত তীব্র হয়ে ওঠে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, “পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ রোববার একটি সার্ভিস বোট পাঠানো হয়েছে, যাতে এক হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা রয়েছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যেই এটি দ্বীপে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে এলেই পর্যায়ক্রমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন পুনরায় শুরু করা হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, স্থানীয়দের আশঙ্কা, আবহাওয়া আরও কয়েকদিন খারাপ থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা দ্রুত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা এবং সুশৃঙ্খল সরবরাহব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছেন।