০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

৬ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন, দ্বীপজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে টানা ছয় দিন ধরে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনগামী নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় দ্বীপজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিসংকট।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, গত ২৫ মে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপবাসী।

বিজ্ঞাপন

দ্বীপের দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও গলাচিপা এলাকাগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি চলছে। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার প্যানেল কাজ করছে না, আবার জ্বালানি না থাকায় জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ জানান, “বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। চাল, ডাল, তরকারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ খাওয়াও পাচ্ছে না, আলোও নেই।”

দ্বীপে কোনো স্থায়ী গুদাম না থাকায় প্রতিদিন টেকনাফ থেকে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনে চাহিদা পূরণ করতে হয়। ফলে নৌপথ বন্ধ থাকলে সংকট দ্রুত তীব্র হয়ে ওঠে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, “পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ রোববার একটি সার্ভিস বোট পাঠানো হয়েছে, যাতে এক হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা রয়েছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যেই এটি দ্বীপে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে এলেই পর্যায়ক্রমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন পুনরায় শুরু করা হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, স্থানীয়দের আশঙ্কা, আবহাওয়া আরও কয়েকদিন খারাপ থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা দ্রুত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা এবং সুশৃঙ্খল সরবরাহব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন, দ্বীপজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট

আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে টানা ছয় দিন ধরে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনগামী নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় দ্বীপজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিসংকট।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, গত ২৫ মে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপবাসী।

বিজ্ঞাপন

দ্বীপের দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও গলাচিপা এলাকাগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি চলছে। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার প্যানেল কাজ করছে না, আবার জ্বালানি না থাকায় জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ জানান, “বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। চাল, ডাল, তরকারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ খাওয়াও পাচ্ছে না, আলোও নেই।”

দ্বীপে কোনো স্থায়ী গুদাম না থাকায় প্রতিদিন টেকনাফ থেকে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনে চাহিদা পূরণ করতে হয়। ফলে নৌপথ বন্ধ থাকলে সংকট দ্রুত তীব্র হয়ে ওঠে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, “পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ রোববার একটি সার্ভিস বোট পাঠানো হয়েছে, যাতে এক হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা রয়েছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যেই এটি দ্বীপে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে এলেই পর্যায়ক্রমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন পুনরায় শুরু করা হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, স্থানীয়দের আশঙ্কা, আবহাওয়া আরও কয়েকদিন খারাপ থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা দ্রুত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা এবং সুশৃঙ্খল সরবরাহব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছেন।