ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ১১৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 48

ছবি: সংগৃহীত

 

নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যের মোকওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার তীব্র স্রোতে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার।

নাইজার রাজ্যের রাজধানী মিন্নার অপারেশন প্রধান হুসেনি ইশাহ জানান, এখনও অনেক মানুষ বিপদে আছেন এবং তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইব্রাহিম ওদু হুসেইনি জানিয়েছেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ১১৫টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে ধারণা করছি, আরও মরদেহ পাওয়া যাবে। কারণ বন্যার পানির প্রবল তোড়ে বহু মানুষ নাইজার নদীতে ভেসে গেছেন। নদীতে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।”

মোকওয়ায় গত বুধবার বিকেলে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে শহরের বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে বা পানিতে ভেসে যায়। স্থানীয় একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়ে ওঠে। বহু বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ, অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

মোকওয়া শহরটি নাইজার রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট অঞ্চল। এটি দক্ষিণ নাইজেরিয়ার বাণিজ্য ও উত্তরাঞ্চলের কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত।

শহরের এক বাসিন্দা ও সরকারি কর্মচারী, ২৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ তানকো জানান, তিনি বন্যায় তার পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার বাড়িটি পুরোপুরি ভেসে গেছে। আমরা সব হারিয়েছি।”

নাইজেরিয়ায় বর্তমানে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে, যা ছয় মাস দীর্ঘ হয়। এ সময়টাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ১৫টিতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছিল। বর্ষার শুরুতেই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সামনে আরও বড় দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন সেখানকার মানুষ।

স্থানীয় প্রশাসন, উদ্ধারকারী দল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাবার, পানি ও জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ১১৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

আপডেট সময় ১১:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যের মোকওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার তীব্র স্রোতে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার।

নাইজার রাজ্যের রাজধানী মিন্নার অপারেশন প্রধান হুসেনি ইশাহ জানান, এখনও অনেক মানুষ বিপদে আছেন এবং তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইব্রাহিম ওদু হুসেইনি জানিয়েছেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ১১৫টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে ধারণা করছি, আরও মরদেহ পাওয়া যাবে। কারণ বন্যার পানির প্রবল তোড়ে বহু মানুষ নাইজার নদীতে ভেসে গেছেন। নদীতে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।”

মোকওয়ায় গত বুধবার বিকেলে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে শহরের বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে বা পানিতে ভেসে যায়। স্থানীয় একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়ে ওঠে। বহু বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ, অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

মোকওয়া শহরটি নাইজার রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট অঞ্চল। এটি দক্ষিণ নাইজেরিয়ার বাণিজ্য ও উত্তরাঞ্চলের কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত।

শহরের এক বাসিন্দা ও সরকারি কর্মচারী, ২৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ তানকো জানান, তিনি বন্যায় তার পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার বাড়িটি পুরোপুরি ভেসে গেছে। আমরা সব হারিয়েছি।”

নাইজেরিয়ায় বর্তমানে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে, যা ছয় মাস দীর্ঘ হয়। এ সময়টাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ১৫টিতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছিল। বর্ষার শুরুতেই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সামনে আরও বড় দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন সেখানকার মানুষ।

স্থানীয় প্রশাসন, উদ্ধারকারী দল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাবার, পানি ও জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান