ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দক্ষিণ ককেশাসে বিদেশি বাহিনী অগ্রহণযোগ্য: ইরান অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলে গাফিলতি, দুদকের উপপরিচালক পলাশ সাময়িক বরখাস্ত সন্ত্রাসবাদ ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা ১০ দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অগ্রগতি: জেলেনস্কি রাজবাড়ীতে হাসপাতালে স্বামীকে প্রকাশ্যে মারধর, ভিডিও ভাইরাল তৃপ্তি দিমরির খোলামেলা স্বীকারোক্তি: অভিনেত্রী হওয়ার জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলেন ব্রাজিল দলে ফিরছেন নেইমার, বিশ্রামে ভিনিসিয়ুস বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস আজ ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়নে কমিটি গঠন

আলোকচিত্র শুধু ছবি নয়, ইতিহাসের জীবন্ত দলিল: কাদের গনি চৌধুরী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি: সংগৃহীত

 

আলোকচিত্র সময়ের দর্পণ, ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। একটি ছবির মাঝে যে শক্তি লুকিয়ে থাকে, তা শত শব্দেও প্রকাশ করা সম্ভব নয় এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘রূপসী বাংলা জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি একেএম মহসিন। প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস শারমিন মুরশিদ। আরও বক্তব্য দেন কবি হাসান হাফিজ, লেখক ওবেইদ জায়গীরদার, বাবুল তালুকদার, নাসিম শিকদার প্রমুখ।

কাদের গনি বলেন, “একটি ছবি হৃদয়ে হাহাকার জাগাতে পারে, আবার সমাজ বদলের প্রেরণাও দিতে পারে।” তিনি ২০১৫ সালের সেই বিখ্যাত ছবির কথা স্মরণ করেন যেখানে ভূমধ্যসাগরের তীরে নিথর পড়ে ছিল তিন বছরের শিশু আয়লান কুর্দি। ছবিটি বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

তিন দশক আগের দক্ষিণ সুদানের দুর্ভিক্ষের ছবিও তিনি তুলে ধরেন। যেখানে ক্ষুধার্ত এক শিশুর পেছনে শকুন অপেক্ষা করছিল তার মৃত্যুর জন্য। সেই ছবি তোলেন কেভিন কার্টার।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে কাদের গনি বলেন, “৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে রংপুরের দুই নারীর শতচ্ছিন্ন জাল জড়ানো ছবি আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন তুলেছিল।” এছাড়াও সীমান্তে ফেলানির ঝুলন্ত দেহের ছবি কিংবা ভাষা আন্দোলনের শহীদ রফিকের লাশের আলোকচিত্র জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, “ফটোসাংবাদিকতা কেবল সাংবাদিকতার সহায়ক মাধ্যম নয় এটি নিজেই এক শক্তিশালী ভাষা। শব্দের ঊর্ধ্বে উঠে ছবি অনেক বড় বার্তা দিতে পারে।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আলোকচিত্রীদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। পুলিৎজার পুরস্কার, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো, ইউজিন স্মিথ ফান্ড থেকে শুরু করে টাইম ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি—সবখানেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব দেখা যায়।

তবে এখনও বাংলাদেশের কোনো আলোকচিত্রী স্বাধীনতা পদক পাননি এটি উল্লেখ করে তিনি আরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির আহ্বান জানান।

শেষে তিনি বলেন, “ছবিই পারে সত্যকে জীবন্ত করে তুলতে। তাই ফটোসাংবাদিকদের অবদান জাতির অগ্রযাত্রার অমূল্য সম্পদ।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আলোকচিত্র শুধু ছবি নয়, ইতিহাসের জীবন্ত দলিল: কাদের গনি চৌধুরী

আপডেট সময় ০৩:৪০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

আলোকচিত্র সময়ের দর্পণ, ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। একটি ছবির মাঝে যে শক্তি লুকিয়ে থাকে, তা শত শব্দেও প্রকাশ করা সম্ভব নয় এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘রূপসী বাংলা জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি একেএম মহসিন। প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস শারমিন মুরশিদ। আরও বক্তব্য দেন কবি হাসান হাফিজ, লেখক ওবেইদ জায়গীরদার, বাবুল তালুকদার, নাসিম শিকদার প্রমুখ।

কাদের গনি বলেন, “একটি ছবি হৃদয়ে হাহাকার জাগাতে পারে, আবার সমাজ বদলের প্রেরণাও দিতে পারে।” তিনি ২০১৫ সালের সেই বিখ্যাত ছবির কথা স্মরণ করেন যেখানে ভূমধ্যসাগরের তীরে নিথর পড়ে ছিল তিন বছরের শিশু আয়লান কুর্দি। ছবিটি বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

তিন দশক আগের দক্ষিণ সুদানের দুর্ভিক্ষের ছবিও তিনি তুলে ধরেন। যেখানে ক্ষুধার্ত এক শিশুর পেছনে শকুন অপেক্ষা করছিল তার মৃত্যুর জন্য। সেই ছবি তোলেন কেভিন কার্টার।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে কাদের গনি বলেন, “৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে রংপুরের দুই নারীর শতচ্ছিন্ন জাল জড়ানো ছবি আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন তুলেছিল।” এছাড়াও সীমান্তে ফেলানির ঝুলন্ত দেহের ছবি কিংবা ভাষা আন্দোলনের শহীদ রফিকের লাশের আলোকচিত্র জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, “ফটোসাংবাদিকতা কেবল সাংবাদিকতার সহায়ক মাধ্যম নয় এটি নিজেই এক শক্তিশালী ভাষা। শব্দের ঊর্ধ্বে উঠে ছবি অনেক বড় বার্তা দিতে পারে।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আলোকচিত্রীদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। পুলিৎজার পুরস্কার, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো, ইউজিন স্মিথ ফান্ড থেকে শুরু করে টাইম ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি—সবখানেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব দেখা যায়।

তবে এখনও বাংলাদেশের কোনো আলোকচিত্রী স্বাধীনতা পদক পাননি এটি উল্লেখ করে তিনি আরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির আহ্বান জানান।

শেষে তিনি বলেন, “ছবিই পারে সত্যকে জীবন্ত করে তুলতে। তাই ফটোসাংবাদিকদের অবদান জাতির অগ্রযাত্রার অমূল্য সম্পদ।”